প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ꦰ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। চার সপ্তাহের জন্য ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ততদিনের জন্য অন্তত স্বস্তি পেল সরকার।
গত ১২ ডিসেম্বর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্♛নীতি মামলায় ২০১৬ সালের জেলাভিত্তিক প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতকে পর্ষদ জানায়, প্যানেল প্রকাশ্যে আনার নিয়ম নেই। এর পরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কী লুকাতে চাইছে পর্ষদ? আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্যানেল প্রকাশ করা গেলে এখন সমস্যা কোথায়? সেই প্রশ্নের কোনও সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি পর্ষদ। উলটে পরদিন ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় তারা।
এদিনের শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী 🌌প্রশ্ন তোলেন, যে ২ জন মামলাকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা তাঁরা টেট উত্তীর্ণ কি না সেটাই নিশ্চিত নয়। এর পর বিচারপতি সৌমেন সেনের বেঞ্চ জানায়, অভিযোগকারীরা টেট উত্তীর্ণ কি না তা প্রথমে যাচাই করে দেখা হবে। তার পর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারীরা টেট পাশ করেছে কি না তা ৩ জানুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত। সঙ্গে বিচারপতি সিনহার নির্দেশে ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ৪ জানুয়ারি মামলাটির ফের শুনানি হবে।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলার শুনানি চলাকালীন বার বার তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে💯 রাজ্য ও পর্ষদগুলির বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এজন্য রাজ্যেকে বারবার ভর্ৎসনাও করেছেন।