রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার জাত–ধর্ম তুলে মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন এক শিক্ষাকর্মী। তাঁর অভিযোগ, ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। যার জেরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ। টানা তিনদিন ওই শিক্ষাকর্মী ൲আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর অভিযোগ, দুর্গাপুজো বাবদ অগ্রিম টাকাও জোর করে তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সিঁথি থানায় তাঁর স্ত্রী অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনা চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়েꦕর বেদবিদ্যা ভবনের শিক্ষাকর্মী নিমাই কর্মকার অভিযোগ করেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই তাঁকে মারধর করা হয়। দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেদিন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেওয়া হচ্ছিল। নিমাই কর্মকারের অভিযোগ, ‘বেশ কিছুদিন ধরে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ওই ২৫ হাজার টাকা দিয়ে দিতে হবে বলে। আমি তাতে রাজি হইন♛ি। অগ্রিম টাকা তোলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মী সনৎ চট্টোপাধ্যায় এবং সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা হয়।’
অন্যদিকে মারধর–সহ জাতপাত তুলে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে নিমাইবাবুর অভিযোগ, ‘মারধর করার সময় জাতপাত তুলে গালাগাল করা হয়। ব্যাঙ্কের বাইরে বেরতেই মারধর শুরু হয়। আমি হার্টের রোগী। এভাবে আমাকে মারধর করা হয় যে আমি ভয়ে ব্যাঙ্কဣে ঢুকে পড়ি। ব্যাঙ্কের কর্মীরা আমাকে বাঁচান। সেখানে রেজিস্ট্রারও ছুটে আসেন।’ আরজি কর হাসপাতালে পুলিশ গিয়ে তাঁর জবানবন্দি নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ‘র♔াজভবনে কবি বসে আছেন’, আবার রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন শিক্ষামন্ত্রী
আর কী জানা যাচ্ছে? অভিযুক্তরা এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত সঞ্জীব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘নিমাই রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে এমন অভিযোগ করছেন। আমি ঘটনাস্থলে সেদিন ছিলাম না। আসলে ওঁর নেতারা এখন ক্যাম্পাস থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন। তাই ক্ষোভ মেটাতে কাল্পনিক অভিযোগ করছেন।’ আর এক অভিযুক্ত সনৎ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘আমরাই তো নিমাইবাবুকে হাসপাতালে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করি দিয়েছিলাম। কেন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেটা জানি না। তবে শুনেছি তিনি কোনও এক ব্যক্তির থেকে নেওয়া ধার মেটাไচ্ছিলেন না।’