কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যꦐের ভাঁড়ার খালি বলে বহুদিন আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন⛦ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো উন্নয়ন প্রকল্প ফেরত পাঠিয়ে দিল নবান্ন। ট্রেন চলাচল অবাধ করতে রাজ্যে ৭টি জায়গায় রেল লাইনের ওপর উড়ালপুল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল রেল মন্ত্রক। কিন্তু রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের কোষাগারে টাকা না থাকায় আপাতত সেই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে না তারা। এই পরিস্থিতিতে গোটা প্রকল্প নিজেদের খরচে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
সারা দেশ জুড়ে ট্রেনের গতিবৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছে নরেন্দ্র মোদ🅷ীর সরকার। ইতিমধ্যে রাজ্যে চালু হয়েছে ৩টি দ্রুতগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। চার নম্বর বন্দে ভারত চলবে চলবে করছে। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুতগামী ট্রেন চালানোয় অন্যতম বাধা হল লেভেল ক্রসিং। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ না করলে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। আবার নির্দিষ্ট সময় গেট ফেললে রাস্তার যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক🍨্ষা করতে হয়। সেজন্য রাজ্যে ৭টি জায়গায় লেভেল ক্রসিংয়ের ওপর রেল ওভার ব্রিজ বানাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
নিয়ম অনুসারে এই ধরণের প্রকꦑল্প রেল ও রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত করে। রেলের ওপর🐼ের অংশে ব্রিজ তৈরির টাকা দেয় কেন্দ্র। আর দুপাশের অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করে রাজ্য সরকার। ফলে রাজ্য রাজি না হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অসম্ভব।
রেলের প্রস্তাবে নবান্নের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য টাকা রাজ্যের হাতে নেই। ফলে প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর পর রেলের তরফে জানানো হয়েছে ৭টি রেল ওভারব্রিজ তৈরির পুরো টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার﷽। রাজ্য সরকার যেন শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে।
এব্যাপারে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্র প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে রাজ্যের বকেয়া মেটাচ্ছে না। তাই ইচ্ছা থাকলেও রাজ্য সরকার প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।’ পালটা বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মেলা - খেলা - উৎসবই এই সরকারের কাছে অগ্রাধিকার। ফলে মানুষের সুবিধা হয় এমন প্রকল্পে খরচ করার মতো টဣাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে।’