রাজ্য পুলিশের নতুন ডিজি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ IPS আধিকারিক রাজীব কুমার। বুধবার নবান্ন থে🏅কে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে। ꦍতবে রাজ্য পুলিশের DG নিয়োগে কেন্দ্রের যে ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ফলে আপাতত ভারপ্রাপ্ত ডিজি পদে বহাল হবেন তিনি।
বুধবারই অবসর নিয়েছের রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। তার পর কে রাজ্𓄧য পুলিশের ডিজি হবেন তা নিয়ে আলোচনা চলছিল নবান্নের অলিন্দে। তবে রাজীব কুমারই যে পরবর্তী ডিজি হতে চলেছেন সেব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন প্রায় সবাই। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে🌃 অপসারণের পর তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। সেই রাজীবকেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে বসালেন মমতা।
সারদাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে যান সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও রাজ্য পুলিশের বাধায় বাসভবনে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। এই নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের বেনজির টানাপোড়েন দেখেছিল দেশবাসী। রাজীবের বাড়িতে সিবিআই হানার বিরোধিতায় কলকাতার ধর্মতলায় ধরনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ধরনায় ꦰদেখা যায় রাজীবকেও। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে সার্ভিস রুল ভাঙার অভিযোগ আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ওদিকে রাজীবকে জেরা করতে চেয়ে আদালত🌟ের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। আদালতের নির্দেশে শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এর পর সিবিআই সূত্রে জানা যায়, রাজীবকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার সময় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার ছিলেন রাজীব কুমার। সারদার সদর দফতর ছিল বিধাননগরের সেক্টর ফাইভে। ওই ঘটনার তদন্তে যে সিট📖 গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তার নেতৃত্বে ছিলেন রাজীব কুমার। অভিযোগ, সেই সময় তদন্তের নামে সারদাকাণ্ডের প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ নষ্ট করেছেন রাজীব কুমার। এখন দেখার তাঁকে রাজ্য পুলিশের 💧ডিজি পদে নিয়োগে দিল্লির ছাড়পত্র মেলে কি না।