অবশেষে বাগজোলা খালের উপর কালভার্ট সংস্কারের কাজ শুরু হল। সেই ২০২১ সালের অগস্ট মাস থেকে এই রুটে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এবার একেবারেই ওই কালভার্টের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। এক্ষেত্রে দমদম স্টেশন থেকে কেউ নাগেরবাজার আসতে চাইলে তিনি সরাসরি আসতে পারবেন না। তাঁকে প্রথমে বাগজোলা খালের উপর কালভার্ট পর্যন্ত যেতে হবে। ফের ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে এপার ওপার করা যাবে। তারপর তাঁরা অটো ধরতে পারবেন।পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরোপুরি কাজ শেষ করতে বছর খানেক সময় লেগে যাবে। অজয়নগর দিয়ে একটি বিকল্প রুট করা হয়েছে। সেখান দিয়ে গিয়ে হনুমান মন্দিরের কাছে গিয়ে রাস্তাটি উঠছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারাপার্সন কস্তুরি চৌধুরী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, বছর খানেক সময় লাগতে পারে। দমদম স্টেশন যাওয়ার বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।সুত্রের খবর, শুক্রবার রাত থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এই কালভার্টের সংস্কার করতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। দীর্ঘদিন ধরে এখানে যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। নাগেরবাজার থেকে দমদম স্টেশন পর্যন্ত যারা যান তাদের অত্যন্ত সমস্যা হয়। এখানে যানজট লেগেই আছে। দিনের ব্যস্ততম সময়ে অটোর দাপটে রাস্তায় চলা যায় না। এদিকে ব্রিজটি দুর্বল হয়ে যাওয়ার জেরে এই পথে বাস মিনিবাস চলাচলও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সেক্ষেত্রে এয়ারপোর্ট থেকে কোনও ব্যক্তি দমদম স্টেশনে যেতে চাইলে তাকে প্রথমে নাগেরবাজার পর্যন্ত বাসে যেতে হত। তারপর আবার নাগেরবাজার থেকে অটোতে দমদম স্টেশনে যেতে হত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাকে প্রথমে নাগেরবাজার যেতে হবে। তারপর আবার বাগজোলা খালের কালভার্ট পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর আবার সেখান থেকে অন্য় অটোতে যেতে হবে দমদম স্টেশনে বা মেট্রো স্টেশনে। তবে এবার অজয়নগরের বিকল্প রুটটা তাঁরা ধরতে পারেন।তবে পুরপ্রশাসন সূত্রে খবর, সমীক্ষা, টেন্ডার ডাকা, কাজের প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় লেগে গিয়েছে। তবে দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কালভার্টে যান চলাচল যাতে পুরোপুরি বন্ধ থাকে সেব্যাপারে মাইকে সকলকে সচেতন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে।তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তায় যাতায়াত করেন। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে কাজটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। তবে এবার কতদিনে এই কাজ শেষ হয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে দমদম স্টেশনের কাছে একাধিক স্কুল রয়েছে। সেই স্কুল পড়ুয়ারা কীভাবে যাতায়াত করবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।