গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় কলকাতা পুরসভাকে সকলে কাঠগড়ায় তুলেছিল। রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছিল। পৃথক তদন্ত কমিটি গড়তে হয় কলকাতা পুরসভাকে। আর তার রিপোর্টের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিনজন ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ডಌ করা হয়েছে। বেআইনি নির্মীয়মাণ কেমন করে হচ্ছিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় একটি পোর্টাল গড়ে তুলেছে কলকাতা পুরসভা। যেখানে এক ক্লিকেই জানা যাবে শহরের কোথায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। তবে এতকিছুর পর কলকাতা পুরসভাকে সেই গার্꧋ডেনরিচই শেষ অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে। এটা শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তব সত্য।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শেষ অর্থবর্ষে প্রায় ১,২১০ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করেছে কেএমসি। এই বড় অঙ্কের আয় এসেছে কলকাতা পুরসভার বরো নম্বর ১৫ অর্থাৎ গার্ডেনরিচ থেকে। বরো নম্বর ১৫–র অন্তর্গত কলকাতা পুরসভার ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫, ১৩৬, ১৩৭,💦 ১৩৮, ১৩৯, ১৪০ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে। এই ৯টি ওয়ার্ড থেকে ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে কলকাতা পুরসভার আয় হয়েছে ১১ কোট💞ি ৭০ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার বেশি। শুধু তাই নয়, ২০২২–২৩ অর্থবর্ষে এই গার্ডেনরিচ থেকে কলকাতা পুরসভার আয় হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি ২ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। সেটা আরও বাড়ল।
আরও পড়ুন: খাজুরাহো লোকসভা কেন্দ্রে বড় চমক, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থীকে সমর্থন কংগ্রেস- সমাজবাদী পারඣ্টির
কলকাতা পুরসভা আয় বাড়াতে শিবির করেছে সারা বছর। গার্ডেনরিচের মতো সংযুক্ত এলাকার বহু বাড়ি এবং জমি সম্পত্তিকর মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে। নতুন সম্পত্তির মিউটেশন বেড়ে গিয়েছে। সঙ্গে করা হয় নানা সম্পত্তির পুনর্মূল্যায়ন। বাজারদ🐼র অনুযায়ী কর ধার্য হয়। এভাবেই আয়বৃদ্ধি করা গিয়েছে। গার্ডেনরিচ এলাকায় সবচেয়ে বেশি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ আছে। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই গার্ডেনরিচের একাধিক ওয়ার্ডই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত। আর গার্ডেনরিচ কাণ্ডও অস্বস্তিতে ফেলেছে কলকাতা পুরসভাকে। তবে কলকাতা পুরসভার অফিসারদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। আদর্শ আচরণবিধি চলছে। আর তাই মেয়র এই রাজস্ব আদায় নিয়ে কিছু বলছেন না।
এছাড়া সম্পত্তিকর আদায়ে কলকাতা পুরসভা অনেকদিন ধরেই জোর দিয়েছে। কারণ রাজস্ব আদায় কম হলে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হবে না। আ♈টকে যাবে শহরের উন্নয়নের কাজ। আর বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে জোরকদমে ন🅰েমেছে কলকাতা পুরসভা। ১২৮টি পুরসভা এলাকাতেই অবৈধ নির্মাণ ঠেকাতে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নিয়ম না মানলে জরিমানা করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেগুলি সব পুরসভার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এমন আবহে সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব দিয়েছে গার্ডেনরিচ। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।