আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল ইনকোয়েস্ট বা সুরতহাল নিয়ে। আজ সেই সুরতহালের সাক্ষীদের আদালতে ডাকা হবে বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। আরজি কর কাণ্ডে গত ৯ অগস্ট সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন শিয়ালদা আদালতের এক বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া সুরতহালের সময় সেদিন আরজি করের সেই ঘরে ছিলেন এক চিকিৎসক এবং ভিডিয়োগ্রাফির একজন। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হল, আজ এই তিন ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে আদালতে। সিবিআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই মামলার ক্ষেত্রে ওই তিন জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। (আরও পড়ুন: ফের থ্রেট কালচার মেডিক্য়াল কলে🦄জে? ব়্যাগিংয়ে মৃত্যু ডাক্তারি পড়ুয়ার)
আরও পড়ুন: চলছে আরজি কর মামলার শুনানি, সঞ্জয়ের পক্ষে কি কেউ সꦜাক্♉ষ্য দিল?
আরও পড়ুন: SSKM-এর জুনিয়র চিকিৎসক কীভাবে অসুস্থ? সামনে এল চাঞ্চল্য💃কর তথ্য
প্রসঙ্গত, এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে এই আনন্দবাজার পত্রিকারই এক রিপোর্টে সিবিআই আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছিল, ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখে তদন্তকারীদের মনে হচ্ছে, 'অবহেলায়' তৈরি করা হয়েছে তা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট তৈরি করতে সাধারণত এক ঘণ্টার মতো লাগে। কিন্তু ২০ মিনিটেই তরুণী চিকিৎসকের ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। আর উপর-উপর দিয়ে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল বলে সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল। এক সিবিআই অফিসার নাকি আনন্দবাজার পত্রিকাকে এও বলেছিলেন, '২৬ বছরের কেরিয়ারে এত অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি'। (আরও পড়ুন: যুবকের মৃত্যুতে রহস🐷্য! ৫ পুল🧜িশকর্মী আক্রান্ত জনতার হাতে, পালটা লাঠিচার্জ, আটক ৮)
আরও পড়ুন: বহু🍌 প্রতিক্ষার পর শেষ পর্যন্ত বাড়ল মহার্ঘ ভাতা, কবে থেকে কার্যকর হবে নয়া ডিএ-র
আরও পড়ুন: TMCP সভাপতি তৃণাঙ্কুরকে তীব্✤র আক্রমণ কল্যাণের, 'মজা' ﷽পাচ্ছেন সুকান্ত
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, তরুণী চিকিৎসকের শরীরে যে এক꧙াধিক চোট আছে, চুলের ভাঙা ক্লিপ যে পাওয়া গিয়েছে, রক্তপাত যে হয়েছে, সেটা লেখা হয়েছে ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে। কিন্তু সেটা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। যা অত্যন্ত বিচলিত হওয়ার মতো বিষয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিবিআই কর্তারা জানিয়েছিলেন, যে কোনও ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় ইনকোয়েস্ট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দুটি রিপোর্টেই এত খামতি আছে যে তদন্তের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হচ্ছে। যদি রিপোর্টগুলো ঠিকঠাক হত, তাহলে কীভাবে অপরাধ ঘটেছে, কে বা কারা জড়িত ছিল, তা নিয়ে একটা ধারণা পাওয়া যেত।