আরজি কর যেন 'দুর্নীতির গোডাউন'। গত ৯ অগস্ট চিকিৎসক খুনের ঘটনার পর থেকেই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসতে শুরু করেছে আরজি কর থেকে। গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জুনিয়র থেকে সিনিয়র ডাক্তাররা। এই সবের মাঝে আবার আরজি কর হাসপাতালে শুরু হয়েছে পড়ুয়া ভরতির প্রক্রিয়া। তবে এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে শূন্য পদ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হল হাই কোর্টে। ইতিমধ্যেই একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সামনে এল আরজি করের আরও এক দুর্নীতির অভিযোগ। এই মামলাটি করেছেন বিহার থেকে এমবিবিএস হয়ে আসা এক চিকিৎসক। (আরও পড়ুন: 𝔉থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে গর্জন, ডিন ও সহকারী ডিনের পদত্যাগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে)
আরও পড়ুন: ♛কোচবিহারে প্রতিবাদীদের ওপরে হামলার নিন্দায় কুণাল ঘোষ, 'সাবধান' করলেন দেবাংশু
অভিযোগ, কাউন্সিলিংয়ে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন মামলাকারী চিকিৎসক। তাঁর সব নথি জাল বলে অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল থেকেই ফোন করা হয় টালা থানায়। পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে রাজীব রঞ্জন নামে ওই চিকিৎসককে। পরে অবশ্য তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে প্রমাণিত হয় যে রাজীব রঞ্জনের সব নথি ঠিক আছে। এই আবহে মামলাকারীর অভিযোগ, পুলিশ ও আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃত যোগ্য প্রার্থীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে সেই পদ নিয়ে নয়ছয় করতে চেয়েছিল। তাই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: 🅠পুরকর্মীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ TMC বিধায়কের নামে, 'না' শুনে যা করলেন নেতা…)
আরও পড়ুন: 🥂আরজি কর কাণ্ডের জের, পুলিশের চাকরি ফিরিয়ে 'সাহস' দেখালেন মৃত সার্জেন্টের স্ত্রী
🌊অপরদিকে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ তাঁর কার্যকালে আর্থিক অনিয়মের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে। তবে শুনানির আগেই ২ সেপ্টেম্বর এই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে ৩১ বছর বয়সি এক চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক জনরোষের পর তাকে গ্রেফার করা হয়।
🌠সন্দীপ ঘোষ তাঁর আবেদনে যুক্তি দিয়েছিলেন যে কলকাতা হাইকোর্ট তাকে ন্যায্য শুনানির সুযোগ না দিয়েই ২৩ আগস্ট তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে, যা প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিকে লঙ্ঘন করেছে। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে উচ্চ আদালত ভুলভাবে তাকে শুনানি থেকে বাদ দিয়েছে, উল্লেখ করে যে তিনি মূল রিট পিটিশনে প্রয়োজনীয় বা যথাযথ পক্ষ ছিলেন না। সন্দীপ ঘোষ জোর দিয়ে বলেন যে তদন্ত স্থানান্তরিত করার আগে আদালতের তার পক্ষ বিবেচনা করা উচিত ছিল, কারণ ফলাফলটি সরাসরি তার অধিকারকে প্রভাবিত করেছে।