আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলছে। তার সঙ্গে আজ, শনিবার যোগ হল নাগরিক সমাজের। আজ কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করল নাগরিক সমাজ। এখন এই ধর্ষণ–খুন কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। কিন্তু সিবিআইয়ের চার্জশিটের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তদন্ত মিলে যাচ্ছে। তাই আজ সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মিছিলের ডাক দ༺েওয়া হয়। কলকাতা পুলিশের তদন্তেই সিলমোহর পড়ছে দেখেই এই প্রতিবাদ মিছিল।
নাগরিক সমাজের এই মিছিলে একাধিক দাবি তোলা হয়েছে। তাঁদের প্রথম দাবি, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যার নারকীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দ্বিতীয় দাবি, বাংলার স্ব꧂াস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট রাজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃতীয় দাবি, আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে একজনের নাম কেন? কলকাতা পুলিশ এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর সিবিআই তদন্ত যতই এগিয়েছে ততই প্রমাণ মিলেছে এই অপরাধের অপরাধী একজনই। নাম—সঞ্জয় রায়। সিবিআই চার্জশিটে এই তথ্য উঠে এলেও মেনে নিতে রাজি নয় নাগরিক সমাজ। তাই প্রতিবাদ মিছিল।
আরও পড়ুন: হোটেলের কনফারেন্স হল বুকিং করেও বাতিল, তেতে উঠল বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা
সিবিআই শিয়ালদা আদালতে যে চার্জশিট দিয়েছে তাতে সঞ্জয় রায়কেই মূল অপরাধী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশ সঠিক পথেই তদন্ত করছিল প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ায় আজও এই ঘটনার সঙ্গে একজনই জড়িত মানতে পারছেন না নাগরিক সমাজের সদস্যরা। এই বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সদস্য অধ্যাপিকা সুচন্দ্রা চৌধুরী অভিযোগ, ‘একজনক✃ে শিখণ্ডী খাড়া করে যে তদন্ত হয়েছে সেটায় আমরা খুশি নই। অভয়ার দেহে ২৪টা আঘাতের চিহ্ন ছিল। এত অত্যাচার করা হয়েছে এটা একজনের পক্ষে ক♔রা সম্ভব নয়। আসল দোষীকে আড়াল করা হচ্ছে। এটা আমরা বুঝতে পারছি।’