কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির💯 চেয়ারম্য👍ান হবেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরাই। প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘোষণাই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলনের মধ্যেই এবার পরিবর্তন আসছে রোগীকল্যাণ সমিতিতে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে শাসকদলের প্রতিনিধি রাখার ব্যবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের জমানাতে প্রথম শুরু হয়েছে এমনটা নয়। বাম জমানাতেও একেকটি সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বে পার্টির নেতা রাখার ব্যবস্থা ছিল। এবার সেটা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
আরজি কর হাস🎀পাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার পর থেকেই এই রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। তাই কোনও বিতর্ক যাতে আর না থাকে তাই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই বিষয়ে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এখন থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ নিজেই। তার সঙ্গে সমিতিতে একজন নার্সকে থাকবেন। স্থানীয় থানার আইসিকে রাখবেন। একজন সিনিয়র ডাক্তার, একজন জুনিয়র ডাক্তার আর স্থানীয় বিধায়ককে রাখবেন। আর কাউকে সমিতিতে রাখার দরকার নেই। যাঁরা সরাসꦏরি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই থাকুক।’
আরও পড়ুন: সিপিএমের লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার, ব্যারিকেডের উপরে লাল পতাকা, ধৃত ১৪
তবে এবার পরিবর্তন আসতে চলেছে। এখন এসএসকেএম হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। কলকাতা মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ব💛িধায়ক ডাঃ সুদীপ্ত রায়। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান এন্টালির তৃ𒐪ণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। এনআরআস হাসপাতালে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ এবং নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান যথাক্রমে খোকন দাস ও গৌতম দেব। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর তা বদলে যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে 💖জুনিয়র ডা꧙ক্তারদের। যাঁরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা কোন পথে হাঁটে সেটাই এখন দেখার বিষয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডাক্তাররা যদি আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান বসতেই পারেন। আমি তো চাই কথা বলতে। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ বৈঠক করব। রাজ্যের সব হাসপাতালের অধ্যক্ষকে থাকতে বলা হচ্ছে। জেলার চিকিৎসকদের ভার্চুয়ালি রাখা হবে। সিনিয়র–জুনিয়র ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। আমি তাঁর নির্দেশ মতো ওই পদে ইস্তফা দেব।’ শান্তনু সেনের বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই চূড়ান্ত।’