আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তার মধ্যেই একটি অডিয়ো ক্লিপ সামনে এসেছে। যা নিয়ে এসেছে তৃণম🥀ূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। এরপরই গ্রেফতার হন কলতান দাশগুপ্ত, সঞ্জীব দাস। এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই অডিয়ো ক্লিপ যাচাই করেছে কলকাতা পুলিশ। যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। সেখানেই উঠে আসে ‘দাদু’, ‘বাপ্পাদা’ এবং ‘সাহেব’–এর কথা। কিন্তু এরা কারা? এবার সেটা খুঁজতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রায় ৩৫ দিন ধরে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে এখনও জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠক হয়নি। যার জেরে এখনও রফাসূত্র বের হয়নি। এমন আবহে রহস্যময় এই ব্যক্তিরা কারা তা নিয়ে বিস্তর চ๊র্চা শুরু হয়েছে। এই তিনজনের পরিচয় এখনও অজানা। তবে ওই কথোপকথনে যা উঠে এসেছে, তাতে এই তিনজনের বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিཧকা ছিল। ‘সাহেব’ই নির্দেশ দিয়েছিলেন সল্টলেকে হামলা করার জন্য। একজন নির্দেশ দেন হামলা করতে। সেখানে ‘বাপ্পাদা’ ও ‘দাদু’ দু’টি নাম উঠে এসেছিল। এমনই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই বিজেপির ধরনা শেষ ধর্মতলায়, পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে ধন্দে গেরুয়া শিবির
ইতিমধ্যেই সিপিএম নেতারা অনেক চেষ্টা করেও কলতান দাশগুপ্তর কৃতকর্মকে ঢাকা দিতে পারছেন না। কিন্তু এই নামগুলি না জানতে পারলে গত মাসের ১৪ তারিখে আরজি কর হাসপাতালে▨ হামলার ঘটনার কিনারা করা সম্ভব হবে না। এই বিষয়ে বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার বলেন, ‘তদন্তের সময় এঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। আইনানুগ পদ্ধতি অনুযায়ী তদন্ত হবে।♔ অডিয়ো ক্লিপে আমরা আরও তিনজনের নাম পেয়েছি। সাহেব, দাদু এবং বাপ্পাদা। তাঁরা কারা এবং এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে তাঁরা কী ভাবে যুক্ত সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি।’