আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ 🥃চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছেন ডা. সন্দীপ ঘোষ। যিনি বারবার সিবিআই দফতরে গিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে। এই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। তবে সন্দীপ ঘোষকে এখান থেকে সরানো হলেও এখন তিনি কোনও পদে নেই। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এখন জ্বলজ্বল করছে সন্দীপ ঘোষের নাম অধ্যক্ষ হিসাবে।
এবার পলিগ্রাফ পরীক্ষা হবে সন্দীপ ঘোষের। এই পরীক্ষায় সম্মতি রয়েছে তাঁর। আর আজ, শনিবার সিবিআই দফতরে গিয়েছেন সন্দীপবাবু। এটা নিয়ে নবমবা🏅র তিনি সিবিআই দফতরে গেলেন। সন্দীপ ঘোষকে অধ্যকꦑ্ষ পদ থেকে সরাবার পর সেখানে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডা. মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এসে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে মানসবাবুর পাশাপাশি সন্দীপবাবুর নামও রয়েছে আরজি কর হাসপাতালের ওয়েবসাইটে। ২১ অগস্ট মানসবাবুকে আনা হয় এখানে। তারপর তাঁর নাম ওয়েবসাইটেও দেওয়া হয়। তাহলে কেন বাদ গেল না সন্দীপবাবুর নাম? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে শান্তিতে ঘুমোতে দিন’, প্রেসিডেন্সি জেলে কারারক্ষীদের কাছে সঞ্জয়ের আর্জি
এই ঘটনায় অনেকেই চমকেছেন। ওয়েবসাইট আপডেট তো হয়েছে। তাহলে কেন সরানো হল না সন্দীপ ঘোষের নাম। আরজি কর হাসপাতালের ওয়েবসাইটে রয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলে একটি সেকশন। তার ভিতরে আছে ‘ইমপরটেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কনট্যাক্টস’ সেকশন। যেখানে সদ্য প্রাক্তন সন্দীপ ঘোষের নাম জ্বলজ্বল করছে অধ্যক্ষ হিসেবেই। যেখানে এই ধর্ষণ–খুনের পর ইস্তফা দিয়েছিলেন খোদ সন্দীপ ঘোষ। জুনিয়র ডাক্ত𒐪ারদের চাপে তা করতে হয়েছিল। সেখানে ওয়েবসাইট আপডেট হওয়ার পরও তাঁর নাম থাকা মানে সন্দীপবাবু যথেষ্ট প্রভাবশালী। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এখন হইচই পড়ে গিয়েছে।