আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। একদিকে ছাত্র সমাজ অশান্তি তৈরি করল ব্যারিকেড ভেঙে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল ♌এবং জলকামান ব্যবহার করল। সুতরাং এই ছাত্র আন্দোলন নিয়ে যে হাঁকডাক করা হয়েছিল সেটা দেখা গেল না বাস্তবে। আর নেপথ্যে গেরুয়া শিবির ছিল বলেই আগামীকাল বুধবার বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে। এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করার চক্রান্তের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। ‘বডি না পড়লে’ আন্দোলনের ঝ🦄াঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাটালের তিন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল) সামনে এসেছিল। তারপরও পুলিশ সংযত হয়ে এই মিছিল মোকাবিলা করেছে। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের ছাড়াতে বিজেপি এখন লালবাজারে গিয়েছে। তবে বনধ নিয়ে আলাℱপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামীকাল বাংলা বনধ হবে না। বিজেপির প্রস্তাবিত বাংলা বনধ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে সরকার।’
আরও পড়ুন: আসন সমঝোতা চূড়ান্ত, কংগ্রেস–ন্যাশনাল কনফারেন্স এক হয়েই জম্মু কাশ্মীরে লড়বে
ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মিছিলꦦ নিয়ে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘আজকের অরাজকতা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে হয়েছে। এটা একটা বড় চক্রান্ত। এটা নবান্ন অভিযান না সমাজবিরোধীদের অভিযান।’ বুধবার স﷽কাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বনধ ডেকেছে বিজেপি। বনধের ঘোষণার ১ মিনিটের মধ্যে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বনধ ব্যর্থ করার আহ্বান জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘ছাত্র সমাজের নাম করে বিজেপি বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তাই এই বনধকে ব্যর্থ করতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানাচ্ছি।’
আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের কথায়, ‘এটা ছাত্র সমাজের কর্মসূ♏চি ছিল না। এটা বিজেপির সমাজবিরোধীদের কর্মসূচি। ওদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। তাই এই বনধকে বাংলার মানুষ ব্যর্থ করবেই। মানুষ সবটাই দেখেছেন। সকাল থেকে পুলিশকর্মীরা বারবার আক্রান্ত হয়েছেন। তবু শান্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি করা হল। কোথায় পড়ুয়া? অধিকাংশই তো মাঝবয়সী। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে অশান্তি তৈরির🗹 এই প্রচেষ্টা বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবে না।’