আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর তা নিয়ে দলের গাইডলাইনের বাইরে মন্তব্য করার জেরে খোয়া গিয়েছিল ‘মুখপাত্র’ পদ। তৃণমূল ভবনে ঢোকার ক্ষেত্রেও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। স্ত্রী কাকলি সেনকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট করিয়ে দেওয়া হয়। এবার কলকাতা পুরসভা থেকে সরে🦩 গেল কাকলির স্বামী শান্তনু সেনের নামের ফলক। আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন। কলকাতা পুরসভায় তাঁর নিজস্ব চেম্ব♐ার থেকে আজ, শনিবার খুলে ফেলা হল নামফলক।
আরজি🐈 কর হাসপাতালে তরুণী🅠 চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নানা ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। আজ শনিবার শান্তনু সেনের নামফলক বা নেমপ্লেট সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে আজ ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ওই পদে শান্তনু সেনের অস্তিত্বই অস্বীকার করেন। আর বলেন, ‘এই ধরনের কোনও পদে তিনি ছিলেন বলে আমার জানা নেই।’
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মিস লিড’ করার চেষ্টা করছে ক🅠েউ’, আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুললে🐼ন শোভনদেব
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগ এবার দুই প্রবীণ চিকিৎসককেও তলব করতে চলেছে লালবাজার। তার মধ্যে আগেই ডাঃ শান্তনু সেন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সঠিক খবর পৌঁছচ্ছে না। এবার সেই সুর শোনা গেল পরিষদীয়মন্ত্রীর গলাতেও। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদ এবার হারালেন শান্তনু সেন। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে তিনি এই পদে ছিলেন বলে খবর। শান্তনু সেনের স্ত্রী কাকলি সেন কলকাতা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। তাঁকেও কলকাতা পুরসভার অফিশিয়াল কাউন্সিলরদের গ্রুপ থেকে বের ꧙করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে💛র খবর।
যেদিন রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। শান্তনু সেনের নামফলক সরানো নিয়ে কলকাতা পুরসভায় বিস্তর কানাঘুষো চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘হেলথ অ্যাডভাইজার বলে কলকাতা পুরসভায় কোনও পদ নেই। একজনই হেলথ অ্যাডভাইজার আছেন। তিনি ডাঃ টি কে মুখোপাধ্যায়। আর কেউ ওই পদে ছিলেন না। আমি জানি না।’ স🐼ংবাদমাধ্যমকে শান্তনু সেন বলেছেন, ‘আমি মিডিয়ার কাছে শুনলাম এই খবরটা। আমি এই বিষয়ে কিছু জানতাম না। ২০২২ সালে আমাকে এই পদেꦛ বসানো হয়েছিল। তাই আমি ছিলাম।’