রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ দেবীপক্ষের সূচনা হবে। অর্থাৎ দুর্গাপুজোর সেই আমেজ এবং উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। ঠিক তার আগে ধন্যবাদ জ্ঞাপন কর্মসূচিতে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কৃতজ্ঞতা’ জানিয়ে মানববন্ধন করল তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সংগঠন। রাজ্যজুড়ে ১৭৫ কিমির মানববন্ধন কর্মসূচি করেছেন তাঁরা। দলের পক্ষ থেকে যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সোমবার দুপুরে রাজ্যজুড়ে এই কর্মসূচি পালন করলেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গ মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কলকাতায় এই কর্মসূচি হয়। উত্তর–দক্ষিণ কলকাতা জেলা মহিলা তৃণমূল🔜 মহিলা সংগঠন একসঙ্গে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
এদিকে আবার জুনিয়র ডাক্ꦫতাররা দুর্গাপুজোর সময় লাগাতার কর্মবিরতি করার কথা ঘোষণা করেছেন। অথচ তাঁদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরেছেন। তারপরই এমন ঘোষণা সাধারণ মানুষের কাছে চাপের হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দুর্গাপুজোর সময় কি রোগীরা পরিষেবা পাবেন না? উঠছে প্রশ্ন। এই আবহে বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে থেকে শুরু হয়ে কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে পর্যন্ত মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যেরা পরস্পরের হাত ধরাধরি করে এই কর্মসূচি পালন করেন। ꧙ইতিমধ্যেই নারী সুরক্ষায় নতুন বিল এনেছে রাজ্য সরকার। ‘অপরাজিতা’ বিল রাজ্যপালকে দিয়ে সই করিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে বসতে শুরু করেছে সিসিটিভি। তবে কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তার জন্য সময় লাগবে। সে কথা রাজ্যের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন। এই আবহে মানববন্ধন করে নারী সুরক্ষার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই মানববন্ধন মিছিলের স্লোগান, ‘আমার হাত তোমার হাতে/ আমরা সবাই দিদির সাথে’। দলের এই কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলায় নারী ক্ষমতায়নে মুখ্যমন্ত্রౠী অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর সেই ভুমিকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানিয়ে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি করছি।’
আরও পড়ুন: নৈহাটি–কল্যাণী শাখায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে পূর্ব রেল, দুর্গাপুজোর ভিড় ঠেকাতে দাওয়াই
এছাড়া চ🔴ন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ড🌃ি, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে এবং প্রাক্তন বিধায়ক স্মিতা বক্সি এবং অন্যান্যরা। মানববন্ধন হয়েছে ১৭৫ কিলোমিটার জুড়ে। সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের ৩৫টি জেলায়। প্রত্যেক জেলায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে মানববন্ধন করতে হয়েছে। পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত মোট ১৭৫ কিলোমিটার মানববন্ধন করতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী–সহ মহিলাদের প্রকল্প তুলে ধরা হয়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘কন্যাশ্রী–রূপশ্রী–সহ বাংলায় নারী কল্যাণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সামাজিক উদ্যোগ নিয়েছেন সেটা বিশ্বমঞ্চে বন্দিত হয়েছে একাধিকবার।’