কলকাতা পুলিশকে ডেডলাইন দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাবা–মায়ের সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় বলেছিলেন, আগামী রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ এই ঘটনার কিনারা করতে না পারে, তাহলে রাজ্য সরকার এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দিয়ে দেবে। কিন্তু কিনারা করার আগেই এই মামলার তদ𓆉ন্তভার সিবিআইয়ে꧙র হাতে দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশের পরই টালা থানায় পৌঁছে গেলেন সিবিআই অফিসাররা। আর এই মামলার তদন্তের রিপোর্ট, সংগ্রহ করা সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাত থেকে সিবিআই হাতে যাচ্ছে।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচ🥀ারপতি। আজ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে দায়ের হওয়া পাঁচটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। সেখানেই রাজ্যের কাছে কেস ডায়েরি তলব করা হয়েছিল আজকের শুনানিতে। দুপুর ১টার মধ্যে সেই কেস ডায়েরি আদালতে জমাও দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টকে তুলে ধরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়,🥀 কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতেই হবে এই সিবিআই তদন্ত।
অন্যদিকে ๊এই দাবি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেটাই মান্যতা পেল। আর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করার সুযোগই পেল না। লালবাজারের অনেক অফিসার বিষয়টিকে এভাবেই দেখছেন। আজ বিকেলেই টালা থানায় পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। তদন্ত সংক্রান্ত অন্যান্য নথি আগামীকাল, বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআইকে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে। এটাই 🙈নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এমনকী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত নথিই সিবিআই চাইলে দিয়ে দিতে হবে পুলিশকে।
আরও পড়ুন: চুঁচুড়া ইমামবা🎀ড়া হাসপাতাল♛ে ধরা পড়ল দুই বিষধর সাপ, রোগীর চিৎকারে আতঙ্কের বাতাবরণ
এছাড়া কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই নবান্নে হয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার। হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সিবিআইকে তদন্তভ♊ার দেওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে আগামী তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, পরবর্তী শুনানিতেই সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এখন কি উঠে আসে সেটাই দেখার।