Eআরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট গোটা কলকাতায় মধ্যরাতে মিছিল হয়েছিল। আরজি করের সামনেও বিশাল জমায়েত হয়েছিল সেই রাতে। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। সেই সময় পুলিশ পালিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির সময় পুলিশের বদলে সিআইএসএফ-কে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এরপর আবার ১৪ তারিখের ঘটনা সেই আতঙ্ক বাড়িয়েছে। সেই রাতে নাকি মহিলা চিকিৎসকদের হোস্টেলে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। এই আবহে পুলিশে আস্থা হারিয়েছে সেখানকার চিকিৎসকরা। এদিকে এই হামলা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২২ তারিখের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২৩ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি। (আরও পড়ুন: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেওয়ার আগཧে...', মমতার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ নির্যাতিতার মায়ের)
আরও পড়ুন: '... হয়ত ময়নাতদন্𒈔তই হত না', আরজি 🌺কর কাণ্ডে বড় দাবি চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক শ্মশানের ম্যান♓েজার, আরজি কর কাণ্ডে শেষকৃত্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে আজকে মামলা চলাকালীন রাজ্যের তরফ থেকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল জানান, হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবশ্য তাও শীর্ষ আদালতে আজ প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশের ভূমিকা। আজ সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, একজন চিকিৎসক খুন হলেন রাতে। দেহ উদ্ধার হল সকালে। এরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়। তবে খুনের মামলা রুজু হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। নির্যাতিতার বাবা গিয়ে এফআইআর করেন। তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করল? এর আগে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কী ভাবে আবার অন্য কোথাও যোগ দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?' (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের সাথে জড়াবেন না দুর্গাপুজোকে, আবꦆেদন ফোরাম ফর দুর্গো🍒ৎসবের)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের আবহে জোড়া ফুল শি🐲বির🍷ে চিড় আরও চওড়া? মমতার পদক্ষেপে জল্পনা
প্রধান বিচারপতি আজ আরও বলেন, 'বিকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল রাত ১১টা ৪৫মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।' এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল যুক্তি সাজাতে চেষ্টা করেন। অপরদিকে প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কী করা হবে বলে প্রশ্❀ন করেন প্রধান বিচারপতি। তার জবাবে কপিল সিব্বল বলেন, শীর্ষ আদালত যা বলবে তাই করব। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকার যেন শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদীদের ওপর কোনও বল প্রয়োগ করা যাবে না। এদিকে সিবিআইকে আগামী ২৩ তারিখের শুনানিতে তদন্তের গ🦹তিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।