ষষ্ঠী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না। দেবীপক্ষের সূচনার কিছুটা পরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত। দাবি করলেন, ‘আবেগতাড়িত’ হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূলে ‘প্রত্যাবর্তন’ ঘটিয়ে নতুনভাবে পথ চলা শুরু করলেন। বৃহস্পতিবার বিধায়ক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথগ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কক্ষে গিয়ে ‘ঘরে’ ফেরেন বিজেপি নেতা। ফিরহাদ হাকিম এবং পার্থের থেকে হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। সেইসঙ্গে জানান, দীর্ঘদিন বিধায়ক ছিলেন। পুরপ্রতিনিধি ছিলেন। পুরোটাই সম্ভব হয়েছে ‘মমতাদি'কে’ সামনে রাখার জন্যই। দলের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য ‘আবেগতাড়িত’ হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আবারও ‘মমতাদি গ্রহণ করেছেন।’এমনিতে ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতেন। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে হারের পর থেকেই 'পদ্মের' প্রতি মোহভঙ্গ হতে শুরু করে সব্যসাচীর। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ‘শত্রু’ সুজিত বসুর কাছে হারতে হয়েছিল। তারপর থেকেই সব্যসাচী তৃণমূলে ফিরতে যান বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে তৃণমূলের একটি অংশ দাবি করেছিল, তাঁকে ফেরানো নিয়ে আপত্তি ছিল সুজিত এবং তাপস চট্টোপাধ্যায়ের। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়রকে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সব্যসাচী লখিমপুর খিরির ঘটনা নিয়ে ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন। তবে সব্যসাচীর সেই ‘প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে টিপ্পনি করতে ছাড়েননি রাজনৈতিক মহল। তাঁদের বক্তব্য, দুর্গাপুজোয় তো পদ্মফুল লাগে। কিন্তু পুজো শুরুর আগেই কিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সব্যসাচীর 'পদ্ম' প্রেমে ইতি পড়ে গেল। সেই প্রেমে ইতি পড়ার আগেই তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, আরও ভাঙন ধরতে চলেছে বিজেপিতে। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘খেলা হবে স্লোগানের একটা স্তবক। মুকুল (রায়), শোভন (চট্টোপাধ্যায়), সব্যসাচী বিজেপি আজ আস্ত রাঁচি, দিলীপ কি ফের কাঁদবে তবে? বন্ধু এবার খেলা হবে..। ভাব সম্প্রসারণ করলে আর কিছুক্ষণ পরের হেডলাইনের অর্থ বুঝতে পারবেন..।’