বাড়ির দোতলায় উঠে চমকে যান পরিচারিকা। কারণ গোটা ঘর রক্তাক্ত। চেয়🐠ারে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত বাড়ির বৃদ্ধ। আর শৌচাগারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বৃদ্ধা। জি সি ব্লকের ৩০ নম্বর বাড়ির দোতলায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সুইসাইড নোট থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। পরিচারিকা যখন দেখেন এই অবস্থা তখনও তাজা রক্ত বেরচ্ছিল দু’জনের শরীর থেকে। এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক। চিকিৎসকের স্ত্রীর দেহের পাশেই মিলেছে রক্তমাখা ছুরি। যে ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে প🎃ড়েছে এলাকায়।
এদিকে রোজ সকালে ওই দম্পতি দোতলায় ওঠার দরজা খুলে রাখেন পরিচারিকা আসার জন্য। আবার দোতলায় গ্রিলের দরজাও খুলে দেন। আজ, বুধবার সকালে সেই খোলা দরজা দিয়ে উপরে উঠতেই ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান পরিচারিকা। পরে তিনি নীচে গিয়ে চিৎকার করলে আবর্জনা তুলতে আসা ব্যক্তি এবং পাশের বাড়ির বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরাও একই দৃশ্য দেখে পুলিশে খবর দেন। খুনের নেপথ্যে কে? কারণ কী? সেটা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সল্টলেকে তিন নম্বর সেক্টরের জিসি ব্লকের বাসিন্দা যদুনাথ মিত্র এবং তাঁর স্ত্রী মন্দিরা মিত্র। বুধবার সকালে মন্দিরা দেবীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ি থেকে যদুনাথ বাবুকেও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হꦅাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সল্টলেকের♋ বাড়ি 🧜থেকে উদ্ধার স্বামী–স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ, হাড়হিম হত্যাকাণ্ডে আলোড়ন
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ডাইনিং টেবিলে পড়েছিল রক্তমা꧙খা ছুরি, টেবিলের নীচে ছিল আর একটা ছুরি। আর তৃতীয﷽় ছুরি মেলে বৃদ্ধের পায়ের কাছ থেকে। সঙ্গে টেবিলের উপর রাখা ছিল সুইসাইড নোট। সেখানে প্রথমে চার লাইন বাংলায় লেখা। ওই বৃদ্ধ চিকিৎসক লেখেন, তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। তারপর আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। সুইসাইড নোটের দ্বিতীয় পর্যায়ে পারিবারিক কিছু কথা লেখা আছে। এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বৃদ্ধ তাঁর গাড়ি বিক্রি করেছিলেন। যেহেতু সেটা কাজে লাগছিল না। হঠাৎ পুরনো ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের চিঠি আসে। কিন্তু তখন তিনি গাড়ি বিক্রির প্রয়োজনীয় নথি বের করে প্রমাণ করতে পারেননি। তাতে তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে তাঁকে বকাঝকা করেন।
আরও পড়ুন: সচিনের ছবি ব্যবহার করেছেন ইউসুফ পাঠান, নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল কংগ্রেꦦস