টাক൲া ফুরিয়ে যাওয়ায় বিহারে পালানোর চেষ্টা করছিল সত্যেন্দ্র। ঠিক তার আগেই হাওড়া স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল সিআইডি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় বিহারে দে🍃শের বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করছিল সত্যেন্দ্র। তখনই ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায় তার অবস্থান।
সিআইডি সূত্রে খবর, বাগুইআটির জগৎপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন বিহারের সীতামারীর বাসিন্দা সত্যেন্দ্র। গত ২২ অগাস্ট বাগুইআটির ২ কিশোর অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে খুনের পর থেকে আর তাকে এলাকায় দেখা যায়নি। গত সোমবার ২ কিশোরের খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর তার মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করা শুরু করেন গোয়েন্দারা। এর পর দেখা যায় দমদম ও বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় টাওয়ার লোকেশন পাওয়া যাচ্ছে। তবে দরকারি কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে ফোন বন্ধ করে দিচ্ছিল সে। ফলে লাগ🍎াতার টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা সম্ভব হচ্ছিল না গোয়েন্দাদের পক্ষে। তাছাড়া একের পর এক সিমকার্ড বদলাচ্ছিল সে।
শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ,কলকাতায় কবে থেকে ভারী বৃষ্টি? জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এই পরিস্থিতিতে সত্যেন্দ্রর খোঁজ পেতে তাঁর আত্মীয়দের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্য♌াক করা শুরু করেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়কে একটি নতুন নম্বর থেকে ফোন করে কথা বলে সত্যেন্দ্র। এর পর সেই নম্বর ট্র্যাকিংয়ে বসায় সত্যেন্দ্র। শুক্রবার সকালে ফের সেই আত্মীয়কে সত্যেন্দ্র ফোন করলে দেখা যায় তখন হাওড়া স্টেশনে রয়েছে সে। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে সাদা 🐈পোশাকে পৌঁছে যায় গোয়েন্দাদের বিশাল দল।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সত্যেন্দ্র ভিনরাজ্যে পালাতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। ♑কারণ, ২২ অগাস্টের পর থেকে সে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেনি। তার কাছে থাকা টাকা এত দিনে ফুরিয়ে আসার কথা। সেকথা অনুমান করেই আত্মীয়দে♈র ফোন নম্বর ট্যাপ করে সিআইডি।
ধৃতকে বি﷽ধাননগর কমিশনারেটের দফতর♓ে নিয়ে গিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। কেন সে ২ কিশোরকে খুন করল তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার তাকে বারাসত আদালতে পেশ করা হতে পারে।