টাকা নিয়ে স্কুলের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলে পৃথক জনস্বার্থ মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক আইনজীবী। এই অভিযোগ তোলা হয়েছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে। এমনকী বিষয়টি নিয়ে সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই পৃথক জনস্বার্থ মামলাকে আমলই দিল না। বরং এই জনস্বার্থ মামলাকে প্রত্যাখ্যান করল কলকাতা হাইকোর্ট। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনে꧅র আগে যে আলোড়ন ফেলার উদ্দেশ্য ছিল সেটা সফল হল না।
এদিকে এবারও অপরূপা পোদ্দার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেই সূত্রের খবর। এটা জানতে পেরেই এমন জনস্বার্থ মামলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করেন। তাঁদের বক্তব্য, এই জনস্বার্থ মামলা কখনই মামলার বহুবিধতাকে সমর্থন করে ন✱া। কারণ এই সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা ইতিমধ্যেই চলছে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। তাই আলাদা করে এই জনস্বার্থ মামলার প্রয়োজন ন♊েই বলে বিচারপতিরা মনে করেন। সুতরাং স্বস্তিতেই রইলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
অন্যদিকে রাজ্যে এখন শিক্ষায় দুর্নীতি বড় ইস্যু। তা নিয়ে তদন্ত করছে ইডি–সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন নেতা–মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপরও তদন্ত শেষ হয়নি। বরং কলকাতা হাইকোর্টে নানা সময়ে শিক্ষায় দুর্নীতির তদন্ত কতদূর এগোলো সেটা নিয়ে শুনানি হয়। এবার পৃথক জনস্বার্থ মামলা করতে গেলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ডিভ🌠িশ🌱ন বেঞ্চে মামলা চলছে। তাহলে পৃথক পিটিশন কেন? কেন মামলায় বহুবিধতাকে ইন্ধন জোগানো হচ্ছে? আমরা চাই না দুই বেঞ্চ থেকে দু’রকম রায় দেওয়া হোক। আপনাদের যে বক্তব্য সেটা নির্দিষ্ট বেঞ্চে জানান।’
আরও পড়ুন: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য সম্প্রচারে ষড়যন্ত্র, লালবাজা𒈔রে অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল
এছাড়া অভিযোগ তোলা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলি প্রভাব খাটিয়ে টাকা নিয়ে চারজনকে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দিয়েছে। প্রাথমিক স্কুলে তাঁরা শিক্ষকতার চাকরি করছেন বলে অভিযোগ। এইসব নানা অভিযোগ তুলে পৃথক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির🦹 ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘আমরা এই জনস্বার্থ মামলাকে স্বাগত জানাতে পারছি না। দয়া করে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চে যান এবং আবেদন করুন।’