কয়েকদিন আগেই রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। এই মামলায় সব রাজনৈতিক দলের নেতা–নেত্রীদের নাম হলফনামায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম হলফনামায় ১৯ জন নেতা–নেত্রীর নাম ছিল। আর তার পরে ১৭ জনের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছিল তাতে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম⛦ এবং তন্ময় ভট্টাচার্যের নাম ছিল। এমনকী কংগ্রেস–বিজেপি নেতাদেরও নাম ছিল। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে জানানো হল, যে কোনও তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে আদালত তদন্ত করাতে পারে। আর নজিরবিহীনভাবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই মামলায় আরও কিছুটা সময় চাওয়াಞ হল।
সিপিআইএম যুবনেতা কী বলেছিলেন? এই মামলা নিয়ে সিপিআইএমের যুবনেতা শতরূপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে সিপিআইএম এই মামলাকে স্বাগত জানাচ্ছে। আমাদের 🀅নেতারা উডবার্নে যাবে না। ইডিকে মামলা থেকে সরানোর জন্য হাইকোর্টেও যাবে না। ইডির বাপ, ঠাকুরদা যে খুশি তদন্ত করুক, আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’ আজ কলকাতা হাইকোর্টে সেলিম–তন্ময়🐼ের পক্ষ থেকে এই বার্তাই দেওয়া হল। কিন্তু সেখানে বিজেপি ব্যাকফুটে হাঁটল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, সোমবার ꦇপ্রায় সাড়ে ৬০০ পাতার আইনি নোটিশ পেয়েছিলেন সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য। তারপর আজ, মঙ্গলবার সশরীরে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে হাজির হন তিনি। মহম্মদ সেলিম এবং তন্ময় ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরদৌস শামিম। সেখানেই তাღঁদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মামলার তদন্ত ইডি–সিবিআই যে খুশি করতে পারে। তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। এমনকী তদন্তের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁরা। অগসট মাসের শেষে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জন নেতা–মন্ত্রীর সম্পত্তি♎ বৃদ্ধির মামলায় 🌱এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেটা নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ রায় এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপরই যুক্ত হয় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা। কিন্তু তাতে ইডি–কে যুক্ত করার কথা আদালত বলেনি। এই তালিকায় বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারী, হিরন–সহ একাধিক বিধায়ক–নেতার নাম রয়েছে।