একুশের নির্বাচনে কাঙ্খিত ফল মেলেনি। বরং মুখ কালো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে নিতে চায় অমিত শাহের মন্ত্রক। সেই নির্দেশও দারি হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁর দলের কোনও বিধায়ক কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেননি। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।দিলীপবাবু ফেসবুক পেজে এই দাবি করলেও শনিবার নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়েছেন। আবার নিরাপত্তা নিতে চাননি বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। রবিবার জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গেরই আরও তিন বিধায়ক দলের নির্দেশ পাওয়ার পরও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়ার আবেদন করেননি। এমনকী সিআইএসএফ–এর পক্ষ থেকেও ফোন করা হলে তাঁরা না বলেছেন।শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘আমি তো বরাবর স্কুটি নিয়ে ঘুরি। মানুষ আমায় এভাবেই দেখেছে এবং এভাবেই দেখতে ভালবাসে। ভোটের ফল ঘোষণার পরে হিংসায় কর্মীদের মৃত্যু হচ্ছে। সেই কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তো আমাদের লক্ষ্য। তাঁরা তো আর নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন না। আমার এখন প্রয়োজন হচ্ছে না।’রাজ্য বিজেপিতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এখন স্ট্যাটাস সিম্বল হয়ে গিয়েছে। তাই অনেকেই ছাড়তে চাইছেন না বলে অভিযোগ। সম্প্রতি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে না ঘোরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ছেড়ে দেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা। ভোটের আগে যাঁরা পাচ্ছিলেন তাঁদের পাশাপাশি অনেক বিধায়ক সম্প্রতি নতুন করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন।ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমায় সিআইএসএফ–এর পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল। দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছি।’ মাটিগাড়া–নকশালবাড়ির তরুণ বিধায়ক আনন্দময় বর্মণের বক্তব্য, ‘বিজেপির ৭৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতেছি আমি। ৭০ হাজারেরও বেশি। এত মানুষ যাঁর সঙ্গে আছে তাঁর আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার কী দরকার? দল থেকে বলা হলেও আমি নিতে চাইনি।’