করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল স্কুলের দরজা। মাঝে স্কুল খুললেও ফের ওমিক্রন ত্রাসে স্কুল বন্ধ হয়েছিল। তবে তারপর থেকেই স্কুল খোলার দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। একের পর এক মামলা হয় উচ্চ আদালতে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খুলবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য। সঙ্গে খুলবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ও। আর এরপরই উল্লাস করতে দেখা গেল বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর কর্মী, সমর্থকদের। মমতার এই ঘোষণাকে নিজেদের রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখছে বাম ছাত্র সংগঠন। তাঁদের দাবি, এসএফআই-ডিওয়াইএফআই-এর চাপের মুখেই ফের স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য হয়েছেন মমতা।এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য গতকাল মমতার ঘোষণা পর জানান যে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খোলার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন এসএফআই-এর কর্মীরা। কলেজ স্ট্রিট থেকে শান্তিনিকেতনে এসএফআই-এর আন্দোলন দমনে সক্রিয় ছিল পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে সৃজনের বক্তব্য, ‘আমাদের সুদীর্ঘ আন্দোলনের রাজনৈতিক জয়। স্কুল, কলেজে বন্ধ রেখে অনলাইন ক্লাসে জোর দিয়ে আসলে শিক্ষা ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে হু ইজ দ্য বস।’এসএফআইয়ের দাবি, শিক্ষালয়ের দরজা খোলার দাবি প্রথম তুলেছিল তারা৷ সৃজন বলেন, ‘ন্যায্য দাবির সামনে প্রশাসনের মাথা আংশিক ভাবে ঝোঁকানো গিয়েছে। তার জন্য তাঁরা আনন্দিত। তবে এখানেই শেষ নয়৷ বরং আরও কিছু দাবি নিয়ে তাঁরা আগামিকাল থেকে ফের পথে নামবেন। এবার লক্ষ্য প্রথম শ্রেণি থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলা, মিড-ডে মিল চালু।’ সৃজন জানান, দাবি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্যপালের কাছে পৌঁছে যাবে এসএফআই হবে। তাতে কাজ না হলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অভিযানে নামার হুমকি দেন তিনি।