গতকালই হাই কোর্টের তরফ থেকে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছিল, সন্দেশখালির নেতা শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। তবে হাই কোর্টের সেই নির্দেশ সত্ত্বেও শাহজাহানকে ভবানী ভবন থেকে নিয়ে যেতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই আবহে আজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার আবেদন করল ইডি। এদিকে আজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম অনুপস্থিত আদালতে। এই আবহে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। এই আবহে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানান, নিয়ম মাফিক এই মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসেই করা উচিত। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি দেন বিচারপতি ট্যান্ডন। (আরও পড়ুন: ‘গোটা বাংলায় সন্দেশখালির ঝড় 𓃲উঠবে’, মমতার সরকারকে উৎখাতের ডাক মোদীর)
আরও পড়ুন: 'বাংলার মা-ব🐼োনেরা আমার পরিবার… যখন ছোট ছিলাম…🐻', ঋণ শোধের কাহিনী শোনালেন মোদী
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার মামলায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। মাঝের ৫৫ দিন সন্দেশখালির 'বাঘ' নাকি ছিলেন এই রাজ্যেই। এদিকে পুলিশ জানায়, মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শাহজাহানকে। তবে শাহজাহানকে নিয়ে প্রথম থেকেই চরম গোপনীয়তা রক্ষা করে এসেছে পুলিশ। এই আবহে শ✱াহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। এরপরই প্রায় গ্রিন করিডর করে শাহজাহানকে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয়। তবে ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যায়। তবে হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিআইডি শাহজাহানকে ছাড়তে নারাজ। এই আবহে গতকাল ভবানী ভবনে গিয়েও খালি হাতে ফিরতে হয় সিবিআই কর্তাদের। এই সবের মাঝেই হাই কোর্টের তরফ থেকে রাজ্যকে তুলোধোনা করে পর্যবেক্ষণ করা হয়, শেখ শাহজাহানকে আড়াল করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। আর আজ হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও এই নিয়ে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার।