এর আগেও দুই বার আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে গুটখা বিক্রির উপর। তবে রাজ্যে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। দেদার বিকিয়েছে গুটখাসহ অন্যান্য তামাকজাত পণ্য। এবারও ৭ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে গুটখার উপর। তবে বিক্রেতাদের দাবি, 'আইনে কিছু হবে না। যেমন চলছে তেমনই চলবে।' কলকাতার শিঁথির মোড়ে এই বিষয়ে এক দোকানদারকে প্রশ্ন করা হলে প্রথমেই তিনি একটু হাসলেন। তারপর বললেন, 'বাংলায় এসব বন্ধ হবে না। লোকে চায়, তাই বিক্রি করি।'চিড়িয়া মোড়ের কাছেই সায়ন্তন গুহ নামক এক পান-বিড়ি-সিগারেট বিক্রেতাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, 'কারখানা বন্ধ না করে আইন এনে লাভ নেই। কারখানা চালু থাকলে উত্পাদনও হবে, মানুষও কিনবে, আমরাও বিক্রি করব।' বেলঘড়িয়ে রেল স্টেশনের পাশেই একটি ছোট্ট স্টলের মালকিনেরও একই মত। মালতিদেবী বলেন, 'জোর করে তো বিক্রি করি না। যখন লোকে এসে চাইবে আমার দোকানে না থাকলে পাশের দোকানে গিয়ে কিনবে। পুলিশ যদি এসে সবার বিক্রি বন্ধ করে, তখন আমিও বিক্রি করব না।'উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল রাজ্যে নিষিদ্ধ হয় গুটখা ও পান মশলা। এরপর ফের ২০১৯ সালের নভেম্বরে নিষিদ্ধ হয় গুটখা ও তামাকজাত দ্রব্য। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ একবছর করে বাড়তে থাকে। সেই নিয়মেই ফএর ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হল গুটখা। স্বাস্থ্য দফতরের কমিশনার অফ ফুড সিকিউরিটিস তপনকান্তি রুদ্র জানান, গুটখা এবং তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, মজুত এবং বিক্রির উপর এই সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে রাজ্যে। তবে কোথায় নিষেধাজ্ঞা!