সিঁথি থানা এক ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার কর꧟ে। তাতে বড় কোনও শোরগোল পড়েনি। কিন্তু তদন্ত নেমে পুলিশ যা জানতে পারল তাতে চোখ কপালে উঠেছে। ধৃত এই ছিনতাইবাজ আসলে ডাকাত। এই তথ্য হাতে পেয়ে কপালে ঘাম দিতে শুরু করেছে পুলিশের। কারণ এই 🙈ডাকাতের আবার নিজস্ব দল আছে। সেই দল নিয়েই চার–চারটি ডাকাতি করেছে সে। তার বিরুদ্ধে সেই মামলাও চলছে। এই ডাকাতের নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পর্যন্ত বেরিয়েছে। এই ডাকাতের নাম গোরা শা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কাশীপুর, সিঁথি, বরানগর এলাকায় ছিনতাই করার অভিযোগে গ্রেফতার হয় গোরা। নিজের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে গাড়ি চালানোকে পেশা করেছিল গোরা। তাই কেউ তাকে ধরতে পারছিল না। সিঁথি থানার তদন্তকারীদের ভুল ভাঙিয়ে দেয় কাঁথি থানার পুলিশ।
সকালে গাড়িচালক গোরা রাতে ডাকাত। মাঝে ছিনতাইও করে থাকে। কাঁথি থানায় যোগাযোগ করেন সিঁথি থানার পু𝄹লিশ। তখনই প্রকাশ্💎যে আসে, কাঁথিতে ডাকাতির অভিযোগে দু’টি মামলা চলছে গোরার নামে। গোরার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার কপিও পাঠায় কাঁথি থানার পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরেও গোরার বিরুদ্ধে ডাকাতি করার অভিযোগ রয়েছে। একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি করেও ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গোরা। গাড়িচালকের কাজ করে। সমস্ত তথ্য হাতে পেয়ে জেরা করা শুরু হয় গোরাকে। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে পুলিশের কাছে ডাকাতির কথা কবুল করে গোরা। যদিও ডাকাতি করে একবারও ধরা পড়েনি গোরা।
আরও পড়ুন: দলীয় নেতা–কর্মীদের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন অনুব্রত, পাখির চোখ ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন
গোরা ডাকাতির কাজ শুধু করত জেলায়। তারপর সেখান থেকে শহরে চলে আসত। শহরে গাড়ি চালানোর ফাঁকে করত ছিনতাই। তবে সবটাই হতো দলবল এবং পরিকল্পনা করে। ডাকাত দলের সদস্যরা ব্যারাকপুর, নৈহাটি, খড়গপুর, বর্ধমান এসব জায়গায় সক্রিয়। গাড়ি চালিয়ে পর্যন্ত ডাকাতি করতে যেত গোরা। হাইওয়েকে ব্যবহার করে চম্পট দিত। একাধিক বাড়ি এবং ♛সোনার দোকানেও ডাকাতি করেছে গোরা ও তার দলবল🍒। ডাকাতি করার আগে রীতিমতো রেইকি করত গোরার দলবল। ডাকাতি করে পাওয়া সোনা তারা পরে বিক্রি করে দিত বলে জেরায় স্বীকার করেছে।