চাকরিপ্রার্থীদের (এসএলএসটি) আন্দোলনের হাজার দিনে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য– রাজনীতি। আজ, শনিবার দুপুরে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে পৌঁছন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থেকে তাঁদের সঙ্গে ধরনায় বসেন। আর তা✅ঁর সামনেই আন্দোলনকারীদের কয়েকজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নিয়ে ‘চোর’ লেখা পোস্টার হাতে স্লোগান দেন। এই কাজ যাঁরা করেছেন তাঁরা সকলে বিজেপির সমর্থক বলে অভিযোগ অন্য চাকরিপ্রার্থীদের। এখানে মাথা মুড়িয়েও প্রতিবাদ 🔯জানিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। সোমবার শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক ঠিক হয়েছে।
এদিকে এখানে এসেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু,কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। এই আবহেই চাকরিপ্রার্থীদের ধরনা মঞ্চে যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি এখানে পা রাখতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গান্ধীমূর্তি চত্ত্বর। আর সংবাদমাধ্যমের সামনেই ‘চোর ধরো জেলে ভরো’ স্লোগান তুলতে থাকেন কৌস্তভ বাগচি। তখন কুণাল ঘোষ এসবকে গুরুত্ব না দিয়ে ছোট্ট বক্তব্যে জানান, চাকরির দাবিতে আন্দোলনকারীকে ন্যাড়া হতে ꦓদেখে তিনি এখানে এসেছেন। ওঁদের ধরনায় কিছুক্ষণ সামিল হতে চান। তখনই ওই মঞ্চের কাছে ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। তাঁর সঙ্গে কুণাল ঘোষের বচসা বাঁধে। যদিও সব সামলে কুণাল ঘোষ চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ধরনায় বসেন।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দিকে এক পাটি জুতোও উড়ে এল। যদিও তার পরেও কুণাল দেখা𝓀 করলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। আর বলেন, ‘আলোচনা থেকেই সমাধানের পথ বেরিয়ে আসে। আন্দোলন তো পালিয়ে যাচ্ছে না। গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলন করার অধিকার সবার রয়েছে।’ এখানেই কৌস্তভ বাগচি বলেন, ‘সরকারি দলের প্রতিনিধিরা এখানে কী নাটক করতে এসেছেন? যদি হিম্মত থাকে তাহলে রাজ্য সরকার কাউকে নিয়োগপত্র দিয়ে পাঠাক। আসলে একটাই কথা বলতে হবে চোর ধরো আর জেলে ভরো।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেಌ দেখা করার সময় চাইলেন মুখ্💦যমন্ত্রী, মাঝ ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি সফর মমতার
কুণাল ঘোষ মঞ্চে আসার আগেই সেখানে পৌঁছন বা🗹মফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।ꦦ তিনি কুণালকে দেখে রেগে ওঠেন। বিমান বসু এখানে বলেন, ‘একই সময়ে ওঁর এই মঞ্চে আসা ঠিক হয়নি। রাজ্য সরকারের যে প্রতিনিধি এলেন, তাঁর লজ্জা হওয়া উচিত। বাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে বলা উচিত যে, আজ চাকরির ন্যায্য দাবিতে একজন নারী মাথা মুণ্ডন করেছেন।’ এই পরিস্থিতিতে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি এদিন মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়েই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপরই এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমরা চাকরির ব্যাপারে আশাবাদী। এখন দেখা যাক কী হয়। আশা রাখছি নতুন বছরেই হয়তো সুখবর পাব।’