নিজের ছেলের যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন মা। বছর চারেক আ💮গে মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ছেলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় অপরাধী ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল খাস কলকাতার হরিদেবপুরে। আলিপুর আদালত ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। ঘটনা♑টি ঘটেছিল, ২০১৯ সালে। ওই যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় মাকে ধর্ষণ করেছিল।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে কিশোরীকে 'গণধরꦰ্ষণ করে পোড়ানো হল কয়লার চুল্লিতে', টুকরো করা হয় দেহ?
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৬৫–এর ওই বৃদ্ধা ২০১৯ সালের ৫ মে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বৃদ্ধার দুই ছেলে রয়েছে। যার মধ্যে বড় ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বিয়ের পরে বড় ছেলে অন্য জায়গায় থাকতে শুরু করেন। এই অবস্থায় ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন মা। ক্রমেই ছোট ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এর জন্য ৭ বার তাকে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরেও মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত ছোট ছেলে। বৃদ্ধার অভিযোগ, তার ছেলে প্রথমবার তাঁকে ধর্ষণ করেছিল ১৪ এপ্রিল। সেই সময় তিনি চুপ ক♔রে ছিলেন। লজ্জায় কাউকে কিছু জানতে পারেননি। কিন্তু, এরপর ৫ মে ফের ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, নৃশংসভাবে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
তবে সেই ঘটনার পর চুপ থাকেননি বৃদ্ধা মা। তিনি থানায় গিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তার সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রায় সাড়ে সাত মাস ধরে জেলে রয়েছে ওই যুবক। এরপর মামলা শুরু হয় আদালতে। মামলায় মোট ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া, মℱেডিক্যাল রিপোর্ট এবং নির্যাতিতার বয়ান নেয় আদালত। সাক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন বড় ছেলে, দুজন চিকিৎসক প্রমুখ। যার মধ্যে একজন চিকিৎসক বৃদ্ধার ডাক্তারি পরীক্ষা করেছিলেন। অন্যজন অভিযুক্তের ডাক্তারি পরীক্ষা ক🍰রেছিলেন। সেই সমস্ত কিছু তথ্য প্রমাণ করতে দেখে আদালত যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানিতেও এই ধরণের একটি ঘটনার কথা সামনে এসেছিল। সে ক্ষেত্রে মাকে ধর্ষণ করেছিল ছেলে। অন্যদিকে, হরিয়ানাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর হরিয়ানার একটি গ্রামে আত্মহত্যা করেন বছর ৫৫-র এক মহিলা। ওই মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে, ওই মহিলার বড় ছেলে মাদকাসক্ত। মাদক কেনার টাকা চাইতে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার করত সে। মত্ত অবস্থায় নিয়মিত মাকেও ধর্ষণ করত। সেই কারণে ওই যুবকের মা আত্মহত্যা করেন। দেহের ময়নাতদন্ত করা হলে ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। সেই ঘটন🔯াতেও ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।