ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের কর্মসূচি। আর এই নম্বরের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো যাবে যাবতীয় অভাব–অভিযোগ। সুতরাং বাংলার মানুষ খুশি দুটি কারণে। এক, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা যাবে। আবার সংশ্লিষ্ট সমস্যাও জানানো যাবে। তার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই এল বিপুল পরিমাণ ফোন। যা এককথায় মাস্টারস্ট্রোক। এভাবেই জনগণ ও সরকারের সেতুবন্ধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাꩲয়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প🍨র ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। সেখানেও মিলেছিল বিপুল সাড়া। যা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রাক্কালে নিয়ে আসা হয়েছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচি। দিদিকে বলো বিষয়টি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি। এবারের বিষয়টি হচ্ছে সরকারি কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করে মানুষের দরজার–গোড়ায় সরকারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার মানুষকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হল।
এদিকে দিদিকে বলো’র ওই ফোন নম্বরেই (৯১৩৭০৯১৩৭০) এবার থেকে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’কে যোগাযোগ করতে পারবেন রাজ্যের মানুষজন। ইতিমধ্যেই সেখানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে খবর। যেদিন এই কর্মসূচি নিয়ে আ💧সা হল সেদিন থেকে পরের দু’দিনের মধ্যে ১০ হাজার ফোন এসেছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ওই নম্বরে এত মানুষ দু’দিনে কথা বলেছে। আর তাতে সমস্যায় পড়া মানুষজন ব্যা🅰পকভাবে সাড়া পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। দু’দিনে ১০ হাজার ফোন কল পেলে এখন সেই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
কী কারণে মানুষ ফোন করেছিলেন? নবান্ন সূত্রে খবর, এখানে যে ১০ হাজার মানুষ ফোন করেছিলেন তাঁরা মূলত তিনটি বিষয়ে কথা বলেছেন। এক, রাজ্যের সামাজিক প্রকল্পগুলি নিয়ে কথা বলেন। কোনও পরিবার রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প না পেয়ে থাকলে সেখানে জানান। আবার কেমন করে নতুন প্রকল্পগুলি পাওয়া যাবে সেগুলি জಞানতে চান। দুই, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সমস্যা পড়া মানুষ ফোন করেন। তিন, সরকারি পরিষেবা যা বাংলার মানুষের পাওয়ার কথা সেসব যদি কেউ না পেয়ে থাকেন, এমন সব মানুষ ফোন করেছেন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা হয়তো সব সমস্যার সমাধান করতে পারব না। কিন্তু জানা তো যাবে। আবার যেগুলি করা যায় তা দ্রুত করা হবে। সরকারের পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই কর্মসূচি। বাংলার মানুষ এখন সরাসরি ফোন করে আমাকে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’