আইপ্যাক দলের পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর রাতারাতি তৃণমূলে গুরুত্ব বেড়েছিল তাঁর। আর দল থেকে আইপ্যাক উচ্ছেদ পর্ব শুরু হতে তৃণমূলের জাতীয়✨ কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়লেন সৌগত রায়। শনিবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলের কোর কমিটির বৈঠকের পর তৃণমূলের যে জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করা হয়েছে তাতে নাম নেই সৌগতবাবুর। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, আগের মতোই ফের দলে প্রচ্ছন্নে যেতে চলেছেন দমদমের সাংসদ।
আইপ্যাক তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর দলে গুরুত্ব বাড়ে সৌগতবাবুর। তাঁকে সংবাদমাধ্যমের একাংশের দলের মুখপাত্র🎉 হিসাবে নিয়োগ করা হয়। এমনকী রাজ্যপালের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দায়িত্বও বর্তায় সৌগতবাবুর ওপর। যার ফলে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত দেখা যেতে থাকে তাঁকে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, পদার্থবিদ্যার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের প্রাজ্ঞতার ওপর ভরসা রেখেছিলেন প্রশান্ত কিশোর🙈।
সৌগতবাবুর সঙ্গে আইপ্যাকের সম্পর্ক যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তার প্রমাণ ফের পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে কলকাতায় আইপ্যাকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দে আইপ্যাকের পাশে দাঁড়ান তিনি। বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভালো ফলের পিছনে আইপ্যাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিক😼া রয়েছে।’ একই সঙ্গে অভিষেকের এক ব্যক্তি এক পদের দাবিকেও সমর্থন করেন তিনি। যার জেরে পরদিনই তাঁকে সতর্ক করে দল। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁকে মুখ খুলতে বারণ কর💙ে দলের নেতৃত্ব।
শনিবার দলের কর্মসমিতি ঘোষণার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পরไবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত দলের সমস্ত পদ অবলুপ্ত করছেন তিনি। যার ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদটিও বিলুপ্ত হয়েছে। 🔜জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ গিয়েছে সৌগতবাবুর নামও।