এবার কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতর। ১ মার্চের আগে হিমঘরে আলু মজুত রাখা যাবে না। এই কথাই উল্লেখ করা আছে বিজ্ঞপ্তিতে। নিয়ম অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে হিমঘরে নতুন আলু মজুত করা শুরু হয়। কিন্তু এই বছর আগে থেকে কিছু হিমঘরে আলু রাখা শুরু হয়েছে বলে কৃষি বিপণন দফতর খবর পায়। তাই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। এমনকী এই সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আর অপরিণত আলু যাতে হিমঘরে মজুত না হয় তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে খবর, এখনই হিমঘরে আলু মজুত করলে বাজারে দাম বেড়ে যেতে পারে। এখন যে নতুন আলু উঠেছে, সেগুলি হিমঘরে মজুত করা হয় না। পোখরাজ, এস ওয়ান–সহ কয়েকটি জাতের আলু মাঠ থেকে চাষিরা বিক্রি করে দেওয়ার পর তা সরাসরি খুচরো বাজারে বিক্রির জন্য চলে আসে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিক থেকে যে নতুন আলু উঠে তা হিমঘরে মজুত হয়। তাই কালোবাজারি রুখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কেন আলু মজুত করা হচ্ছিল? জানা গিয়েছে, এবার ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লাগানো আলু বীজ অনেক জমিতে নষ্ট হয়ে যায়। তাই সেই জমিতে নতুন করে বীজ ফেলে চাষ করা হয়েছে। যা উঠতে এবার দেরি হবে। একাধিক দফায় অসময়ের বৃষ্টির কারণে এবার দক্ষিণবঙ্গে আলুর ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা আছে।এই অবস্থা বুঝতে পেরে পরে বেশি দাম পাওয়ার আশায় হিমঘরে আলু মজুত করা হচ্ছিল বলে খবর। তাই আগেভাগেই নতুন আলু হিমঘরে ঢোকানো শুরু হয়েছিল। হিমঘরে আলু ঢোকা শুরু হতেই বাজারে দাম বেড়েও গিয়েছে। আলুর দাম বেড়ে গেলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে।