১৫০ বছর ধরে কলকাতার বুকে চলছে ট্রাম। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সেই ট্রাম প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। বর্তমানে কল✃কাতার রাস্তায় হাতেগোনা কয়েকটি রুটে ট্রাম চলে। তাও সেগুলির অবস্থা ভালো নয়। এই অবস্থায় কলকাতার এই প্রাচীন পরিবহণকে বাঁচাতে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই গঠিত হল কমিটি। ১০ জনের বেশি সদস্য নিয়ে এই কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। যার মধ্যে পরিবহণ দফতরের ৭জন আধিকারিক রয়েছেন। এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য, ট্রাম লাভার সংগঠনের সদস্য, কলকাতা পুরসভার হেরিটেজ কমিটির সদস্য এবং এই দাবিতে মামলা করা সুলগ্না মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মহানগরীতে ⭕ট্রাম চালাতে চায় পরিবহণ দ♔ফতর, জটিলতা ঠিক কোথায় হচ্ছে?
কী কাজ করবে এই কমিটি?
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ট্রামকে কীভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় তাই নিয়ে ভাবনাচিন্তা এবং পদক্ষেপ করবে এই কমিটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে এই ট্রামকে আধুনিক করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। দুষণহীন যান হিসেবে ট্রামের গুরুত্বকে অবগত করাবে। প্রভৃতি বিষয়ে কাজ করবে এই কমিটি। পাশাপাশি ট্রামের ফলে শহরের রাস্তায় তৈরি হওয়া যানজটের বিষয়টিও মাথায় রাখবে এই কমিটি। আগে কলকাতার বহু রুটে এই যান চলত। কিন্তু, তা কমতে কমতে বর্তমানে ৩টি রুটে ট্রাম চলে। ꦏতবে বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে ঐতিহ্যবাহী এই যানকে বাঁচানো না হলে আগামী দিনে বন্ধ হয়ে যাবে এই যান। এমনই আশঙ্কা করেছিল ট্রাম লাভারস সংগঠন। তাই ট্রামকে বাঁচাতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সুলগ্না। সেই মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলাকারীর তরফে আদালতে জানানো হয়, কলকাতার রাস্তায় প্রথম ট্রাম চালু হয় ১৮৭৩ সালে। কিন্তু, ধীরে ধীরে ট্রাম রুট কমে যাচ্ছে। এমন হলে আগামী দিনে এই যান সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে ন๊া বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মামলাকারী। সেই মামলায় রাজ্যের তরফে রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়, কলকাতায় ১১৬.৬২ কিলোমিটার ট্রামলাইন রয়েছে। তবে বর্তমানে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার লাইনে ট্রাম চলে। ৩টি রুট এখন সচল রয়েছে। ৬ টা ট্রাম ডিপো রয়েছে। সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে।
এনিয়ে মামলাকারীর অভিযোগ করেন, বেলগাছিয়া আর টালিগঞ্জ ডিপোর জায়গা একটি বেসরকারি সংস্থাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে✨। কর্মচারীদের বকেয়া মেটাতে, লোন শোধ করতে ও ইলেকট্রিক বাস কিনতে এই জমি বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি ট্রাম সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তারপরেই এনিয়ে কমিটি গঠন করতে 🐻বলেন তিনি।