রসগোল্লা কার তা নিয়ে বাংলা এবং ওড়িশা মধ্যে চলেছিল লড়াই। শেষ পর্যন্ত বাংলারই জয় হয়। রসগোল্লাতে জিআই ট্যাগিং পেয়েছিꦜল পশ্চিমবঙ্গ। মালদহের আমও পেয়েছে জিআই ট্যাগিং। সম্প্রতি মালদহের রসকদম্বের জিআই ট্যাগিং চেয়ে আবেদন জানিয়েছে মালদহের ম্যাঙ্গো মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এবার রাজ্যে আরও যে সমস্ত জিনিস জিআই ট্যাগিং পাওয়ার উপযুক্ত কিন্তু এখনও পায়নি তা নিয়ে উদ্যোগী হয়ে একটি কমিটি গঠন করল নবান্ন।
নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে শীর্ষে রেখে ২১ সদস্যের এই কমিটিতে থাকবেন জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রতিটি জেলায় এই কমিটি কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোনও কিছুর খোঁজ পাওয়া গেলে তার জিআই ট্যাগিং নিয়ে উদ্যোগ নেবে এই কমিটি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্🌠রী জেলাশাসকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ডোকরা শিল্পের জিআই ಌট্যাগিং করানো হয়েছে কিনা তা করা হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন জেলাশাসক🅘। এরপর রাজ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জিনি🍬সগুলিকে জিআই ট্যাগিং করানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার বিভিন্ন জেলায় এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলি বিশ্বের ꦉআর কোথাও পাওয়া যায়🔯 না। এইসব জিনিসের জিআই ট্যাগিং করলে বিশ্ব বাজারে সেগুলি বিক্রির ব্যবস্থা করা যাবে। এর ফলে রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটিরশিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ উপকৃত হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জিআই ট্যাগি✨ং নিয়ে কমিটি গঠন করার জন্য প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দেয় নবান্ন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে যে সমস্ত জিনিস জিআই ট্যাগিং পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দার্জিলিঙের চা, লক্ষণভোগ, হিমসাগর, ফজলি আম শান্তিপুরের শাড়ি, জয়নগরের মোয়া, বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও ডোকরা শিল্প এবং রসগোল্লা প্রভৃতি।