ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার্থে ২০২১ সালে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। যার মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। কিন🐼্তু, এই প্রকল্পে এবার বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই টাকা বহু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। একটি বা দুটি স্কুল নয় রাজ্যের একাধিক স্কুলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় কার গাফিলতির জন্য এরকম হচ্ছে? তা🌜 নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: স্কুল পড়ুয়াদের আধার কার্ড🐷 করতে বুধবার থেকে জেলায় জেলায় শিবির
জানা গিয়েছে, কলকাতার বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমি, শ্যামবাজারের শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় সহ রাজ্যের একাধিক স্কুলের ক্ষেত্রে 💯এরকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। পড়ুয়ারা যে অ্যাকাউন্ট নম্বর আবেদনে জমা দিয়েছেন সেই অ্যাকাউন্ট নম্বরে টাকা জমা পড়েনি। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের নাম, অ্যাকাউন্ট ꧋নম্বর এবং যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তার বিবরণী থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বেলগাছিয়ার মনোহর অ্যাকাডেমির চার পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢোকেনি। তার পরিবর্তে অন্য অ্যাকাউন্টে এই টাকা ঢুকেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, ওই চারজনের টাকা ঢুকেছে সল্টলেকের চারজনের অ্যাকাউন্টে। এ বিষয়ে উল্টোডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়াদের দাবি, তাদের সহপাঠীরা পুজোর আগেই টাকা পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এখনও তারা অ্যাকাউন্টে টাকা পাননি। অথচ তারা সঠিক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয়ের ৫ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এই ঘটনায় শ্যামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের দাবি, তারা সঠিক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়েছে। কীভাবে এরকম হল? তা ওনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
যদিও ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাওয়ার কথা মেনে নিয়েছে কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে তথ্য তোলার সময় ভুল হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই সমস্যা শুধু কলকাতার স্কুলগুলিতেই নয়, একাধিক স্কুলে𓃲 এরকম সমস্যা হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে স্কুলের ভুল রয়েছে বলে দাবি আধিকারিকদের। তাদের বক্তব্য, স্কুল যে তথ্য পাঠিয়েছে সেই তথ্য ডেটা এন্ট্রি করে শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিদর্শকের অফিসের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে কাদের ভুল হয়েছে? কোন পর্যায়ে ভুল হয়েছে? সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্টে ভুল করে টাকা ঢুকেছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককে টাকা ছাড়তে নিষেধ করা হয়েছে। তবে যে সমস্ত পড়ুয়ারা টাকা পায়নি তাদের দ্রুত টাকা পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।