মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন সাধন পান্ডের স্ত্রী সুপ্তি পান্ডে। মেয়ে শ্রেয়া পান্ডেকে টিকিট না দিয়ে এবার টিকিট পাচ্ছেন সুপ্তি। এমনকী শ্রেয়াকে ভোটের ক🥃াজ থেকে দূূরে রাখার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
তবে সুপ্তি পান্ডের আরও একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সহপাঠী। এমনকী ছাত্রী জীবনে মমতার বাড়িতে যেত🦩েন সুপ্তি। সেসব অনেক দিন আগের কথা। এদিকে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একাধিকবার সেই দিনগুলোর কথা তুলে ধরেছেন। তবে সুপ্তি পান্ডে জানিয়ে দিয়েছেন যে বন্ধুত্ব একজায়গায় আর কাজ অন্য জায়গায়। যারা ভাবছেন এই বন্ধুত্বের জন্য তিনি প্রার্থী হিসাবে আমাকে ভাবছেন তাহলে তিনি মুর্খ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পড়তেন যোগমায়া কলেজে। আর সুপ্তি পান্ডে পড়তেন গোখেলে। বিড𓃲়লা প্ল্যানেটোরিয়াম পর্যন্ত একসঙ্গে হেঁটে তাঁরা আসতেন। একেবারে সাধারণ বাড়ির মেয়ে ছিলেন মমতা। অজস্র স্মৃতি রয়েছে তাঁর মমতাকে ঘিরে। সেই ছাত্রী মমতা। সেই ছোটবেলার দিনগুলো খুব মিস করেন তিনি।
সেই মমতার ছোটবেলার বন্ধু। সেই 🌠স্মৃতি ভিড় করে আসে মনে। সেই সাধন পান্ডের মৃত্যুর পর যে আসনটা ফাঁকা হয়েছিল সেখানেই প্রার্থী হতে চলেছেন সুপ্তি পান্ডে।
এদি🍃কে শ্রেয়া পান্ডেকে টিকিট না দিয়ে মা সুপ্তিকে টিকিট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা হচ্ছে মানিকতলায়। তবে শেষ পর্যন্ত এই উপনির্বাচনে কী হয় সেটাই দেখার। তবে শ্রেয়ার কথাটা আগামীদিনের জন্য ভেবেছেন নেত্রী, এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্তি।
২০১১ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত হওয়ার পরে সেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। সেই সময় তিনি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। পরে ২০১৬ এবং ২০২১ সালের ব💫িধানসভা ভোটেও তিনি সেখানে জয়ী হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী। এবার সেই আসনে প্রার্থী হচ্ছেন তাঁরই স্ত্রী। ইতিমধ্য়ে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সোমবার উত্তর কলকাতা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। পরে মঙ্গলবার কোর কমিটির সদ🐬স্য এবং মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সুপ্তি পাণ্ডেও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তাঁকে প্রার্থী করার বিষয়ে সীলমোহর দেন মমতা। এদিকে এবার মানিকতলা উপনির্বাচনে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল ঘোষ।