দুই বছর বিজেপিতে থাকার পর পদ্মে মোহভঙ্গ হয় সব্যসাচী দত্তর। এই আবহে বৃহস্পতিবার ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র। বিধাসভায় পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন সব্যসাচী। আর এই ঘটনা নিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভাতে এভাবে যোগদান প্রেক্ষিতে শুভেন্দু এক টুইটে লেখেন, 'আজ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। ভারতের অন্য কোনও বিধানসভায় কখনও এমনটা দেখা যায়নি। ক্ষমতাসীন দল বিধানসভাকে নিজেদের পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করল। সরলভাবে এটা সহজ ও হাস্যকর। বিধানসভার মধ্যে কাউকে দলে যোগদান করিয়ে বিধানসভারই বদনাম করা হল।' বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথবাক্য পাঠের পরই তৃণমূলে যোগ দেন সব্যসাচী। বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। দলনেত্রীর সবুজ সঙ্কেত দেওয়াতেই তৃণমূলে ফেরা কার্যত সম্ভব হয় সব্যসাচীর। সল্টলেকে বিজেপির দুর্গাপুজোর বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ খোলেন সব্যসাচী। পরে লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়েও 'বেসুরো' হতে দেখা যায় তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ফুলবদলের জল্পনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল।তৃণমূলে যোগদানের পর সব্যসাচী দত্ত বলেন, 'তৃণমূলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হওয়াতেই দল ছেড়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় গ্রহণ করেছেন। দলের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। দল যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করব।'