🦄 ‘ও সুইটি আর কেঁদো না, আমি আসছি’। এটা একটি বাংলা সিনেমার গান। তবে এখানে সুইটি শব্দটি ভাল অর্থে ব্যবহার হয়েছে। এখানে যৌন অর্থ বোঝাচ্ছে না। তাই সমাজের বুকে কোনও নারীকে সুইটি বা বেবি বলে ডাকলে সেটা সবসময় যৌন অর্থে প্রয়োগ বোঝায় না। অনেকেই পরিচিত বা প্রিয়জনকে আদর করে এসব নামে ডেকে থাকে। এই বিশেষণ প্রয়োগ করে ডাকলে কি ইঙ্গিত বদলে যায়? এমনই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। আর কাউকে ‘সুইটি’ বা ‘বেবি’ বলে ডাকার অর্থ যৌন হয়রানি নয় বলেই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। কোস্টগার্ড বা উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক মহিলা কর্মী এই মামলা করেন। আর তাতেই এমন পর্যবেক্ষণের কথা শোনান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
🌃 তবে এই একই পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, কোনও মহিলা কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা করা হয় অথবা নারীদের যৌন হেনস্থা আইনের অপব্যবহার করা হয় তাহলে সেটা অবশ্যই বিবেচিত হবে। এই মামলায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক মহিলা কর্মী তাঁর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিক তাঁকে ‘সুইটি’ এবং ‘বেবি’ বলে ডাকেন। এটাই তিনি যৌন হেনস্থা হিসাবে দেখছেন। এমন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, কোস্টগার্ডের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি তা লিখিতভাবে জানান মহিলা। সেখানে ওই আধিকারিক জানান, তিনি যৌন হেনস্থা করার মানসিকতা নিয়ে এই শব্দগুলি ব্যবহার করেননি। তা শুনে ওই মহিলা প্রতিবাদ করেন এবং কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তখন থেকে আর ওই আধিকারিক ‘বেবি’ বা ‘সুইটি’ বলে ডাকেননি।
আরও পড়ুন: 🦩‘পুলিশ যদি বেশি প্রভুভক্তি দেখায় থানা জ্যাম করে রেখে দেব’, ফের হুমকি দিলীপ ঘোষের