আমতার আনিস খানকাণ্ডে এবার নয়া মোড়। আনিস খানের বাড়িতে যে অভিযান হয়েছিল তা আইন মেনে হয়নি। তবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের যথাযোগ্য শাস্তি প্রয়োজন। আদালতে জানাল রাজ্য। তবে আনিস খানকে খুনের উদ্দেশ্যে এই অভিযান হয়নি অর্থাৎ তাঁরা খুনের জন্য সেদিন যাননি।। সেকারণে ৩০২ ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। আদালতে জানাল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আদালতে রাজ্যের তরফে জানℱানো হয়েছে, আনিস খানকে চিনতেন না ওসি আমতা সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জিয়ারুলের সহযোগিতায় তাঁরা আনিস খানকে চিহ্নিত করেন। তবে সেদিন ধস্তাধস্তির কোনও শব্দ পাওয়া যায়নি। সেদিন পুলিশকর্মীদের সঙ্গে আনিসের ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। দাবি রাজ্যের তরফে।
ফেসবুকের সূত্র ও ছবি দেখে সেই অভিযান শুরু হয়েছিল। এদিকে তিনতলার উপর সেদিন একজন রয়েছেন বলে আঁচ করতে পেরেছিলেন পুলিশ কর্মীরা। তারপর পুলিশ কর্মীরা কি সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলেন? সেই সংশয় ক♚াটেনি এখনও।&꧃nbsp;
অন্য়দিকে রাজ্যের তরফে দাবি তোলা হয়েছে, আনিসের বাবা সালেম খান এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নন। পাশাপাশি মোবাইল পরীক্ষা করে কোনও চক্রান্তের খোঁজ মেলেনি ব𓆉লে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফ꧙ে।꧒ তবে কলকাত🦩া হাইকোর্টের কাছে একটি সংশয় এখনও থেকে গিয়েছে। সেদিন পুলিশ কর্মীরা আনিসের বাড়িতে সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকেꦉ রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, গোটা তদন্ত ♔প্রক্রিয়ায় যান্ত্রিকতার সহায়তা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই জেরাতে বা তদন্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের আস্থা রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশকর্মীদের জেরার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি খুনের ধারা প্রয়োগ করা যাবে না এই সিদ্ধান্তে রাজ্য কীভাবে পৌঁছাল সেব্যাপারেও আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আগামী ৭ জুন পরবর্তী শুনানি হবে।