বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল আরজি করের সেমিনার হলে আসলে খুনটা করা হয়নি। অন্য কোথাও পিটিয়ে তারপর সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে এসব কথার মধ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে তা নিয়ে আগে থেকেই নানা প্রশ্ন ছিল। তবে ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ একেবারে ভালো করে খতিয়ে দেখেছে সিবিআই। কিন্তু সেখানে কোথাও অন্য কোথাও থেকে নির্যাতিতাকে সেমিনার হলে নিয়ে আসার কোনও প্রমাণ নেই। সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও খুন করে দেহ সেমিনার হলে আনা হয়েছে তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি। আপাতভাবে এখনও পর্যন্ত যা প্রমাণ মিলেছে তাতে ইঙ্গিত মিলেছে যে ওই সেমিনার রুমেই যাবতীয় অপরাধ সংক্রাღন্ত কর্মকাণ্ড হয়েছিল।
এদিকে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল নির্যাতিতাকে নাকি অন্য কোথাও মারধর করে তারপর সেমিনার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেটাও 𝓰নাকি এমন রুট দিয়ে যেখানে সিসি ক্যামেরা নেই। তবে বাস্তবে তেমন কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলেই খবর। তা♎ছাড়া সকলকে এড়িয়ে একজন মহিলা চিকিৎসককে এভাবে নিয়ে আসা হবে সেমিনার হলে তার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।
সেই সঙ্গেই অপর একটি দাবি করা হচ্ছিল যে সন্দীপ ঘোষ নাকি সেদিন ভোরবেলা আরজি করের𒊎 সেমিনার রুমে গিয়েছিলেন। তবে ইতিমধ্যেই সিবিআই একেবারে ফ্রেম টু ফ্রেম সবকিছু মিলিয়ে দেখেছে। ভোরবেলা সন্দীপ ঘোষের সেমিনার হলে বা হাসপাতালে আসার কোনও প্রমাণ মেলেনি।
সেক্ষেত্রে এতদিন পর্যন্ত যে দুটি মূল দাবি করা হচ্ছিল তার কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি।&💯nbsp;
সূত্রের খবর, ৮ অগস্ট সকাল থেকে ১০ অগস্ট পর্যন্ত সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ একেবারে নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্তত ৫৩টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গত জুলাই মাসের শুরুর দিকের ফুটেজগুলিও দেখে সিবিআই। দুটি ক্যামেরার সিসিটিভি ফুটেজে গত ৯ অগস্ট ভোরে সেমিনার হলের দিকে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জয় রায়কে আবার 𝔍তার আধ ঘণ্টা পরে বের হতেও দেখা যায়। এই ফুটেজটা অন্যতম ভরসা সিবিআইয়ের হাতে। সেই সঙ্গেই সিবিআইয়ের হাতে যে সমস্ত কল রেকর্ডিংগুলো এসেছে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।