শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বাংলা পক্ষের দুই সদস্যকে। 🐠তারা বিহারไ থেকে বাংলায় পরীক্ষা দিতে আসা দুই ছাত্রকে হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ। এরপর বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ সরাসরি বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চ্যাটার্জিকে গ্রেফতারের দাবি করেছিলেন। এবার সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুললেন গর্গ।
তিনি বলেন, রজত ভট্টাচার্য আর গিরিধারী রায় বাংলাপক্ষের সদস্য। তারা ভারত মাতার দেশপ্রেমিক সন্তান। তারা সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফকে রক্ষা করেছে ওই ক্রিমিনালরা ভুয়ো বাসস্থানের সার্টিফিকেট জমা দিতে যাচ্ছিল। তারা ফোর্সে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল। ওই দুজন দেশের সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভারতের সুরক্ষাকে রক্ষা করেছে।দুটি নিয়োগ পরীক্ষায় ২০২১ ও ২০২২ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল কোটায় ৬০ শতাংশ প্রার্থীর পরিচয় ছিল প্রশ্নের মুখে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫৫৫০জন ছিলেন। ভুয়ো নথি জমা দিচ্ছেন। বাংলাদেশের লোকজনও ভুয়ো নথি জমা দিচ্ছেন। আমরা সিআরপিএফের অফিসেও গিয়েছ🍎িলাম। সমস্ত মহলে জানিয়েছি। ওয়েস্ট বেঙ্গল অসম ত্রিপুরায় একই সমস্যা। তারা অবৈধভাবে প্রবেশ করে ফোর্সের মধ্যে প্রবেশ করছে। এটা জাতীয় সুরক্ষার ব্যাপার। আমরা কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। প্রথমে সিআইডিতে গিয়েছিল মামলা, পরে সিবিআইতে গিয়েছিল। তাঁর ꧃দাবি এটা জাতীয় সুরক্ষার ব্যাপার।
গর্গ বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে চোরের মায়ের বড় গলা। যদি আপনি বেশি চিৎকার করেন তবে লোকজন ভাবতে থাকেন ন𓃲িশ্চয়ই এর পেছনে কিছু একটা আছে। এই ইস্যুটাই চলছে এখানে। আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনও আপোস নয়। এটা বাঙালি অবাঙালি ইস্꧂যু নয়। এখানে বিহার থেকে আসা অনেকে বাস করেন। তারা আসল প্রার্থী। কিন্তু ভুয়ো বাসস্থানের সার্টিফিকেট যারা দেখাচ্ছেন তারা ঠিক করছেন না।
প্রসঙ্গত বিহার থেকে শিলিগুড়িতে পরীক্ষা দিতে আসা দুই ছাত্রকে হেনস্থা করেছিলেন বাংলা পক্ষের দুজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেছ🍸িলেন। পুলিশ অভিয🏅ুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছিল।
এর আগে বিজেপি নেত্রী কেয়া ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'বাঙালি হিসাবে আমি আমার সমৃদ্ধ ইতিহাস নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে কেউ আমাকে এই অধিকার দিয়েছে যে আমি অন্য রাজ্য থেকে আসা মানুষকে হেনস্থা করতে পারব। বিহার থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলা পক্ষ যা করেছে সেটা আবার ভুয়ো আইবি অফিসার পরিচয় দিয়ে সেটা পুরো অনিয়ম। অন্য রাজ্যে যে বা🧔ঙালিরা চাকরি করছেন তাদের কেরিয়ারের বিরাট ক্ষতি করে দিচ্ছেন। যদিও শিলিগুড়ি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে, তাদের উচিত ওদের লিডার গর্গ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দায়ের করা। যারা এই ধরনের ঘৃণা ছড়াচ্ছে।'