ডিসেম্বর মাসেই 💜কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে কার্যকর করতে পারে নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ)। তেমন অশঙ্কা করেই বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে সিএএ-র বিরোধিতা করে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল। এই প্রস্তাব ঘিরে উত্তাল হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশ শুরু হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অধিবেশনের গোড়ার দিকেই এই প্রস্তাব আনা হতে পারে। এই নিন্দা প্রস্তাবে সমর্থনে বিরোধীদের এগিয়ে আসার জন্য আসার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বেশ কয়েকটি বিলের সঙ্গে সিএএ নিয়ে বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাবআনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে 🀅করছেন এই নিন্দা প্রস্তাবকে ঘিরে উতপ্ত হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। কারণ, এই প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিক ভাবেই সিএএ-র সমর্থনে বক্তব্য রাখবেন তিনি। তখন উত্তেজনা তৈরি হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্য দিকে বিজেপির মতুয়া সম্প্রদায়ের বিধায়করা সিএএ কার্যকর করার পক্ষপাতী। ফলে শীতের অধিবেশনে বিধানসভা তপ্ত থাকবে এই নিন্দা প্রস্তাবকে ঘিরে।
প্রশ্ন হল, ডিসেম্বরে কি সিএএ আদৌ কার্যকর করা সম্ভব হবে? কারণ, মঙ্গলবার গুরুনানকের জন্ম♓দিন উপলক্ষে পঞ্জাবে একটি অনুষ্ঠানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সওয়াল করলেও, কবে তা চালু হবে তা নিয়ে কিছু🍸 বলেননি। অন্য দিকে বনগাঁয় একটি অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল মেনে নেন,'রুলস ফ্রেম' করতে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। সেগুলি দূর করতে হবে। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সম্প্রতি বলেন, 'বিরোধীরা সুপ্রিয় কোর্ট মামলা করেছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না-হওয়া পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করা সম্ভব নয়।' এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরে নিন্দা প্রস্তাব আনা সম্ভব কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
যদি তেমনটাই হয়,🥀 সে ক্ষেত্রে তৃণমূল চ🎶াইছে আগে ভাগে নিন্দা প্রস্তাব এনে বিষয়টি বিধানসভার খাতায় তা লিখিত করে রাখতে।