বিজেপির একটি গুরুত্বপূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, যার নাম হল ‘ন্যাশনাল গ্রোথ কমিটি’। আর সেই গ্রুপেই রয়েছেন তৃণমূলের এক যুবনেতা। সবচে🐲য়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই হোয়াটꦍসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাডমিন রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তারপরেও সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সদস্য হিসেবে রয়েছেন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি কোহিনুর মজুমদার। তৃণমূলের একজন পরিচিত নেতা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তিনি বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য হলেন? কেই বা তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ করেছেন? তাহলে কী তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? নাকি বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থেকে গোপনে খবর রেখে চলেছেন? তাই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনের প্রাক্কালে তালড্যাংরায় ব্যাপক ভাঙন বিজেপির, নেতা–কর্মীরা তৃণম🎉ূলে
জানা যাচ্ছে, বিজেপির এই গ্রুপে সব মিলিয়ে ৩৪৩ জন সদস্য রয়েছেন। কিন্তু সৌমিত্র এবং শান্তনু ঠাকুরের মতো নেতারা এই গ্রুপের অ্যাডমিন হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে কোহিনুর তাতে অ্যাড হলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনীতির অন্দরে। যদিও সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন কোহিনুর তিনি জানান, তিনি শুধু একা নন, তাঁর মতো তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী বিজেপির একাধিক গ্রুপে রয়েছেন। তাঁর দাবি, এই সমস্ত গ্রুপগুলি থেকে অনেক ফেক নিউজ ছড়ানো হয়। পাশাপাশি বিজেপি অনেক জায়গায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করে। আরজি কর, সন্দেশখালি নিয়েও বিজেপি অনেক ফেক খবর চেয়েছিল। তাই এই গ্রুপে থেকে আসলে তৃণমূলের নেতা কর্মীর﷽া নজরদারি রাখেন💯।
এদিকে, তৃণমূল নেতারা বিজেপির গ্রুপে রয়েছে তা সত্ত্বেও তারা কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সে প্রসঙ্গে কোহিনুর জানান, বিজেপি এগুলি জানে না। কারণ তাদের সংগঠন খুব দুর্বল। যদিও বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা দাবি করেছেন, কোহিনুর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন হয়তো সেই কারণে গ্রুপে আছেন। এখন ধরা পরে গিয়েছেন, তৃণমূল বকাবকি করবে তাই তিনি এসব কথা বলছেন। একই সঙ্গে অন্য তৃণমূলের নেতা কর্মীদের গ্🦩রুপে থাকার দাবি প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব বলেন, এটা এ🐟কেবারেই উচিত নয়। ওই গ্রুপে যারা রয়েছেন তাদেরকে সতর্ক করা হবে।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে তৃণমূল-বিজেপির আঁতাতের তত্ত্ব তুলে ধরে উভয় দলকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, সিপিএম অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে তৃণমূল বিজেপির আঁতাত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্তে সাহায্য করেছে তৃণমূল। তাই কৃতজ্ঞতা জಞানাতেই বিজেপি তৃণমূল নেতাদের গ্রুপে ঢুকিয়েছিল।