নয়াদিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক স্বার্থে এই দুই রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করা যায়নি বলে দোষারোপ করলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী আপ সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অসহযোগিতায় ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প’ এই দ🎶ুই রাজ্যে কার্যকর করা যায়নি বলে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ। আগামী বছর দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। আর বাংলায় এখন ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে। তার প্রাক্কালে প্রဣধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
এদিকে ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা প্রবীণ নাগরিকরা এবার থেকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আজ, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের সূচনা হল। কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের একটি কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যথিত। এই দুই রাজ্যের প্রবীণ নাগরিকরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন না। আমি দিল্লির ও পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের বেশি প্রবীণ নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চাইছি, আমি আপনাদের সেবা করতে সক্ষম হব না। আপনাদের কষ্ট ও সমস্যা আমি বুঝতে পারলেও আপনাদের সাহায্য করতে পারছি না। কারণ আপনাদের রাজ্য প্রশাসন রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চ༒ালু করছে না।’
আরও পড়ুন: ডাকাতির ছক বানচাল করে দিল দুর্গাপুর পুলিশ, কালীপুজোর প্রাক্কালে ১০ ডাকাত গ্রেফতার
অন্যদিকে বাংলার ক্ষেত্রে আছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। যেখানে মানুষ বিনামূল্যে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারছেন। তার জন্য কোনও বিধিনিষেধ নেই। সেখানে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে রাজ্যকে আর্থিক ভার নিতে হবে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু আছে। রাজ্যের সমস্ত পরিবারের সবাই এই প্রকল্পের সুবিধা⛎ পাচ্ছেন। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আয়ুষ্মান ভারতের কোনও নিয়মকানুন উল্লেখ করেননি। ওই প্রকল্পে সকলে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগও পান না। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, বাংলা ও দিল্লিতে রাজনৈতিক প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।’