উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল না হলে পৃথক রাজ্য। এই ইস্যুতে বিজেপির ভেতর থেকে উস্কানি দেওয়া হলেও মুখে বলা হচ্ছে বাংলা ভাগ চাই না। স্বয়ং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলছেন, উত্তরবঙ্গের যন্ত্রণা আমরা বুঝি। রাজ্যপাল নয়াদিল্লির নির্দেশে একসপ্তাহের জন্য উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। সেখানকার সাংসদ আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এবার এই পরিস্থিতিতে সেখানের সংগঠন মজবুত করতে নামানো হচ্ছে মুকুল রায়কে। যিনি সদ্য বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণবঙ্গে ভাল ফল করলেও উত্তরবঙ্গ সাফল্য আসেনি। তাই উত্তরবঙ্গে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে এবার মুকুল রায়কে কাজে লাগাতে চাইছে শাসকদল বলে সূত্রের খবর।দলীয় সূত্রে খবর, মুকুল রায়ের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে শক্তিশালী ভিত তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডকেই মাঠে নামাতে চাইছে দল। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গেই উত্তরবঙ্গের উন্নয়নেও কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তাঘাট, জল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে কোনও খামতি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরও মেলেনি আশাতীত সাফল্য। তাই এবার সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সংগঠন মজবুত করতে আসছেন রায়সাহেব বলে খবর।উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ভাল ফল করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং সেখানে শাসকদলকে ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। আবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ৬ জেলার ৪২ আসনের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। কোচবিহারে ৯টি আসনের মধ্যে সাতটিই গিয়েছে বিজেপির কাছে। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে দুই দিনাজপুরে শাসকদলের মুখরক্ষা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গকে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাই সেখানকার সংগঠনের হাল সামলাতে এবার মুকুল অস্ত্রই শান দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কিভাবে করেন মুকুল রায়।