রাস্তায় বসে থাকা আদিবাসী ব্যক্তির মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশের এক বিজেপি নেতার বিরুꦰদ্ধে। এমনকী একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচ൩াই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা ঝড় উঠেছে। বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর বাকি তিনদিন। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রচারে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। আর তখনই আদিবাসী–বিরোধী আচরণের জন্য বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের দাবি তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষের কাছে এমন আবেদনও করেন তিনি। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে এক ভয়াবহ ঘটনার প্রেক্ষিতেই মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরের তীব্র সমালোচনাও করেছেন।
এদিকে বিজেপি লাগাতার যেভাবে আদিবাসী সমাজকে অপমান করে চলেছে তারও সমালোচনা করেছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাঁর কথায়, ‘এমন বিজেপি নেতাদের আমি তীব্র ধিক্কার জানাই।ꩲ ওঁরা কথায় কথায় আদিবাসীদের সম্মান করার কথা বলেন। এখন সেই সম্মান কোথায় গেল? একজন আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে ওঁরা প্রস্রাব করলেন কীভাবে? এর আগে আমরা বাংলায় দেখেছিলাম, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, দেবনাথ হাঁসদা এবং আমি নাকি তাঁর জতার তলায় থাকি। তারপরও বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি।💜’
অন্যদিকে বিজেপি আদিবাসী সমাজকে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্ꦉথে ব্যবহার করে বলেও তোপ দাগেন ঝাড়গ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপতি আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করার সময় তাঁকে ডাকা পর্যন্ত হয়নি। তাই আমি আমার আদিবাসী ভাই–বোনদের বলছি, এইসব ঘটনাগুলি থেকে বিজেপিকে বোঝার চেষ্টা করুন। বিজেপি আদিবাসীদের শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবেই গণ্য করে। ওরা মিথ্যেবাদী এবং আদিবাসী সমাজের কথা ভাবে না। আদিবাসী সমাজের একজন প্রতিনিধি হিসাবে আমি বিজেপিকে প্রত্যাখ্যানের আবেদন করছি।’
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল বিজেপির নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন’, আনন্দকে সর🅘াসরি আক্রমণ সেলিমের
তৃণমূল ঠিক কী বলছে? এই ঘটনা নিয়ে একটি টুইট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে মধ্যপ্রদেশের এই বর্বরোচিত আচরণের প্রতিবাদ করে টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘তঞ্চকতা আবার প্রকাশ্যেಞ এসে পড়েছে। আদিবাসীদের উন্নয়নে কোনও চেষ্টা নেই। ভারত সরকার তাঁদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। আমাদের নেত্রী বীরবাহা হাঁসদা তুলে ধরেছেন কেমন করে আদিবাসীদের অপমানিত করা হয়েছে। তাঁদের অনুভূতিকে কীভাবে অসম্মান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নতুন ভারতে মানবিকতা পিছনের꧂ আসনে চলে গিয়েছে। আর সামনে চলে এসেছে নির্যাতন এবং নিষ্ঠুরতা। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হচ্ছে।’