দু’দিন আগেই বীরভূমে রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। এই টাকার উৎস কী? জানতে চান ইডির অফিসাররা। এখন লোকসভা নির্বাচন দুয়ারে। বীরভূমের সংগঠনের দায়িত্বে আছেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। সেখাౠনে তাঁর বাড়িতে ইডি হানা দেওয়ায় কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে বলে অনেকে মনে করছেন। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ায় জনমানসে তার প্রভাব পড়তে পারে। যদিও নির্বাচনে প্রচারের কাজে ওই টাকা লাগত বলেই রাখা হয়েছিল। এটাই সূত্রের খবর। এবার রাজ্যের এই মন্ত্রীকে কলকাতায় ইডির সদর দফতরে ডেকে পাঠানোও হল। ইডি সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহেই চন্দ্রনাথ সিনহাকে তলব করা হয়েছে।
এদিকে নিচুপট্টিতেই বাড়ি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। এই এলাকা থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার ঠিক দেড় বছরের মাথায় আবার দেখা গেল কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দাদের। স্বাভাবিকভ💛াবেই মানুষের মনে কৌতূহল বাড়ছে। গত শুক্রবার চ🎐ন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। সেই তল্লাশিতেই ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মন্ত্রীর একটি মোবাইল ফোন। সেই ফোন থেকে একাবিধ তথ্য বের করা হয়েছে। আর তা নিয়েই মন্ত্রী মশাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: ‘বিজেꩲপি প্রার্থী হিসাবে রেখা পাত্রকে চাইছি না’, সন্দেশখালিতে পড়ল পোস্🅠টার বাড়ল বিতর্ক
অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে চন্দ্রনাথ সিনহার যোগসূত্র খোঁজা হচ্ছে। তাছাড়া নিয়োগ দু⭕র্নীতিতে কেমন করে মন্ত্রী জড়িত তাও জানতে চায় ইডি অফিসাররা। তল্লাশি করার সময় চন্দ্রনাথ 🌱সিনহার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সব প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইডির তল্লাশি এবং তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেন চন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, ‘ইডি নিজের কাজ করেছে। আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। আর কিছু বলব না। কী উদ্ধার হয়েছে, না হয়েছে, সেটা ইডি দাবি করছে। আমি কিছু বলব না।’