বেশ কিছুদিন আগের কথা। তখন সারা দেশে সবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সক্রিয় হয়েছিল। আর তাতে অনেক তাবড় নেতা–মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার ভয় পাচ্ছিলেন। তখন এক অ🐲নুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘যব ভ্রষ্ট নেতাও কো ভি জেল জানে কা ডর সাতায়ে, তো ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়। ইয়ে ডর আচ্ছা হ্যায়।’ প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, দুর্নীতিপরায়ণ নেতারা যখন জেলে যেতে ভয় পান, সেই ভয় প্রকারন্তরে মঙ্গলের। এবার এই ইডি–সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে যে লাভ হবে না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে না—সেটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে অবিজেপি রাজ্যগুলিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি–সিবিআই। বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রী তাঁর আশেপাশে ঘিরে থাকা ব্যবসায়ীদের অনিয়ম এবং দুর্নীতি দেখতে পান না। সিবিআই–ইডি তাঁদের বেলায় চোখ বুজে থাক🍬ে। এই কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ বেছে বেছে শুধু বিরোধীদের হেনস্থা করা। ভয় দেখানো। এমনকী এই ভয় দেখিয়ে দল ভাঙানোর অভিযোগও উঠেছে। বিজেপিকে ওয়াশিং মেশিন বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর দুই ভাই ইডি আর সিবিআই—এসব স্লোগানও উঠেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যের নেত🌼া–মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া ইডি–সিবিআইকে বিজেপির গণসংগঠন বলতে শোনা গিয়েছে নেতাদের।
অন্যদিকে এই আবহে ইডি–সিবিআই নিয়ে মুখ খুলেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কী ভাবছেন? ভয় দেখালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাব!’ রাজ্য সরকারের সিনিয়র এই মন্ত্রীর এমন মন্তব্য বিস্তর গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি এবার বিজেপি থেকে⛎ প্রস্তাব এসেছে? লো🐭কসভা নির্বাচনের আগে কি মেয়রকে হেনস্থা করা হতে পারে? মেয়রকে ভয় দেখানো হয়েছে? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ দেখা গিয়েছে যে, চাপের মুখে পড়ে রাজনৈতিক আনুগত্য কমেছে। আবার কেউ শিবির বদল করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘আমার কিছু ব্যক্তিগত জিনিস ইডি ফেরত দিচ্ছে 🍰👍না’, আদালতে নালিশ করলেন মানিক
তবে এসব করে লাভ হবে না। সেটা স্পষ্টভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ‘মৃত্যু পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকব। যতই ইডি আসুক, সিবিআই আসুক। আমার বাড়িতেও তো এসেছ🧸িল, কী পেয়েছে? এখনকার সরকার ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। কিন্তু কয়েকဣটা নাম বদলে দিয়ে ইতিহাস বদলানো যায় না। মোঘলসরাই স্টেশনের নাম বদলে দিয়ে ইতিহাসকে পাল্টানো যায় না। আর ভারতের ইতিহাস থেকে মোঘল আমলকে মুছে দিতে পারবেন না বিজেপি নেতারা।’