‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ শেষে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠল। সংখ্যা লক্ষ হয়নি বলে আগেই খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার পরই বেফাঁস মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তা করে স্বামী বিবেকানন্দকেই অপমান করলেন সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে এবার এক্স হ্যান্ডেলে সরাসরি তাঁকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। নাম না করলেও তাঁকেই ‘বামপন্থী প্রোডাক্ট’ বলল🌃েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর তা নিয়ে এখন তেতে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। তবে সুকান্ত মজুমদারকে কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, গীতাপাঠের এই অনুষ্ঠান সফল। রাজ্য বিজেপির সভাপতিও বলে দেন, এটার সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ এসব বলা। ওরা দুর্নীতি থেকে মাথা তুলতে পারছে না। গীতাপাঠ নিয়ে আর ভাল কী বলবে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘লক্ষাধিক নয়, গীতাপাঠে যোগ দিয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ জন। গীতাকে সবাই সম্মান꧟ করে। কিন্তু রাজনীতি করছে বিজেপি। ব্রিগেড কেন, শ্রদ্ধানন্দ পার্ক ভাড়া করলেই হয়ে যেত। লোক হবে না, বুঝতে পেরেই আসেননি প্রধানমন্ত্রী।’
অন্যদিকে আজ রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কন্ঠ গীতাপাঠ’ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বিতর্ক তৈরি করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘বাংলা বহু যুগ ধরে এই সনাতন সংস্কৃতির ধারক–বাহক। আর এই ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল বাংলা। মাঝে বাংলা কিছুটা ডিরেলড হয়েছিল, বামপন্থীদের দ্বারা। এখন দেখতে পাচ্ছেন না অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভাল যাঁরা বলছেন তাঁরা বামপন্থী প্রোডাক্ট। এখন বাংলা সঠিক পথে যাবে। আর আজকে থেকে শুরু হচ্ছে সঠিক পথে যাওয়া।👍’ কিন্তু বামপন্থীরা এই কথা বলেননি। এই কথা স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দের। যা জানেন না সুকান্ত বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় সত্যিকারের সান্তা ক্লজের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’﷽, দাবি করলেন মেয়র
আর সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য নিয়ে এখন হইচই শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘স্বামীজি এ🏅কবার বলেছিলেন, ফুটবল খেললে তোমরা স্বর্গের কাছাকাছি পৌঁছবে। গীতা পাঠের থেকে ফুটবল খেললে স্বর্গের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজু💟মদার আজ স্বামীজিকে অপমান করলেন, তাঁর ভাবনাকে অপমান করলেন। তিনি বলেছেন, এগুলি যাঁরা বলছেন তাঁরা অশিক্ষিত। পরোক্ষভাবে স্বামীজির বাণীকে অপমান করলেন। এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।’ ‘গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের নিকটবর্তী হইবে’—এই কথা বলেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সুকান্ত মজুমদার একজন অধ্যাপক হয়েও কীভাবে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।