অখিল কাণ্ডের পর বিধায়কদের সতর্ক করে বলা হয়েছিল, দল–সরকার বিড়ম্বনায় পড়ে এমন কাজ করা চলবে না। পরিষদীয় দলের বৈঠকে বিধায়কদের সতর্ক করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিধানসভা🔯য় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে প্রবীণ বিধায়কের তোলা প্রশ্নে চূড়ান্ত ꩵবিড়ম্বনায় পড়তে হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এমনকী এমন প্রশ্ন তুলে দলীয় নেতৃত্বের তিরস্কারের মুখেও পড়তে হল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরীকে।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? সূত্রের খবর, বিধানসভার অধিবেশন এখন শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বৈঠকেই বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেন নিয়মিত বিধানসভায় আসেন না? যদি তিন–চার দিন আসতেন, একঘণ্টাও থাকতেন তাহলে ভালই হতো।’ তꦇখনই তাল কাটে বৈঠকে🐻র। যা বিড়ম্বনা তৈরি করে।
তারপর ঠিক কী ঘটল সেখানে? আব🦩দুল করিম চৌধুরীর এই মন্তব্য করতেই তাঁকে ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন বৈঠকে উপস্থিত দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তখন বিষয়টি থিতিয়ে যায়। অনেকেই মনে করছেন, বিধায়ক এই মন্তব্য করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ🥀্ছেন। যদিও সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি আবদুল করিম চৌধুরী।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিধানসভার অধিবেশন শেষ হতেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারপক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এখানেই নিজের মতপ্রকাশ করতে গিয়ে আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি ১১ বারের বিধায়ক। অজয় মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধার্থ রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব🌊 ভট্টাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি। তাঁরা আসতেন। মুখ্যমন্ত্রী কেন নিয়মিত বিধানসভায় আসেন না?’